আরএসপি-র প্রবীণ নেতা দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতেও দেখা মিলল বৃহত্তর গণতান্ত্রিক জোটের! বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএম নেতা মদন ঘোষ, সিপিআইয়ের প্রবোধ পণ্ডা, মঞ্জুকুমার মজুমদার, ফরওয়ার্ড ব্লকের দেবব্রত বিশ্বাস, জয়ন্ত রায়দের পাশাপাশি শ্রদ্ধা জানালেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রদেশ কংগ্রেস নেতা দেবব্রত বসুরাও। কলকাতায় শোকমিছিল সেরে রবিবার দেবব্রতবাবুর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে বহরমপুরে। যা দেবব্রতবাবুর আদি বাসস্থান এবং অধুনা কংগ্রেস গড়! মুর্শিদাবাদে ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে আরএসপি-র ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’ হয়েছে। কিন্তু দেবব্রতবাবুর মৃত্যু সেই দূরত্বও মুছে দিয়েছে।
প্রথম বামফ্রন্ট সরকারের পঞ্চায়েতমন্ত্রী দেবব্রতবাবুর মৃত্যু হয়েছে শনিবার বিকালে বেলগাছিয়ায় তাঁর আবাসনেই। পিস হেভ্ন থেকে দেহ বার করে এ দিন সকালে নিয়ে আসা হয় মৌলালিতে আরএসপি-র রাজ্য দফতরে। বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস ছাড়াও এসইউসি, সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনের নেতৃত্ব, অসীম চট্টোপাধ্যায়, বর্ণালী মুখোপাধ্যায়ের মতো ছোট বাম দলের নেতারাও এসেছিলেন শ্রদ্ধা জানাতে। এর পরে ৯০টি লাল পতাকা (দলের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদকের বয়স হয়েছিল ৯০) নিয়ে আরএসপি কর্মী-সমর্থকেরা শিয়ালদহ উড়ালপুল পর্যন্ত মিছিল করেন। মিছিল শেষে শববাহী শকট নিয়ে দলের নেতারা রওনা হয়ে যান বহরমপুরের উদ্দেশে। জাতীয় সড়কের ধারেও বহু জায়গায় গাড়ি থামিয়ে দেবব্রতবাবুকে অন্তিম শ্রদ্ধা জানান গুণমুগ্ধেরা। তাঁদের মধ্যেও ছিলেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা।
বহরমপুরে আরএসপি-র মুর্শিদাবাদ জেলা কার্যালয়েই রাতে রাখা হচ্ছে দেবব্রতবাবুর মরদেহ। সেখানে আজ, সোমবার জেলার মানুষের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন পর্বের পরে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। বহরমপুরের ভূমিপুত্র দেবব্রতবাবু দীর্ঘ দিন বিধায়ক ছিলেন বড়ঞা থেকে। আরএসপি-র বর্তমান রাজ্য সম্পাদক ক্ষিতি গোস্বামী ও কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মনোজ ভট্টাচার্যও শেষকৃত্যে যোগ দিতে বহরমপুর গিয়েছেন।