প্রতীকী ছবি।
আয়লার পরে সুন্দরবনে অনেক কৃষিজমিতে নুনের পরিমাণ বেড়ে ৩০-৪০ শতাংশে পৌঁছেছে। ওই সব লবণাক্ত জমিতে সব শস্যের চাষ সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাই নোনা মাটি ও মিষ্টি জল ব্যবহার করে বিকল্প চাষের ব্যবস্থা হচ্ছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা ব্লকে প্রায় ১০০ কৃষক পরিবারকে নিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে এই কাজ শুরু করছেন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। কখনও বর্ষার জলে মাটি ধুয়ে নুন বার করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কোথাও লবণাক্ত মাটিতে চাষ হতে পারে, এমন ফসল বেছে নেওয়া হচ্ছে। ফসলের উপরে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মিষ্টি জল। নতুন পদ্ধতিতে গোসাবা ব্লকের রাঙাবেলিয়ায় নোনা জমিতেই ভুট্টা, ক্যাপসিকাম, খেসারির ডাল, টোম্যাটো প্রভৃতির চাষ শুরু হয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিজ্ঞানী কৌশিক ব্রহ্মচারীর দাবি, কম জলে হতে পারে, এমন রবিশস্য চাষের পরীক্ষা গোসাবা ব্লকে আরও কয়েক বছর চলবে। বিভিন্ন শস্যদানার পাশাপাশি লঙ্কা, পুঁইশাক, লাল শাকের মতো ফসলের চাষও হয় অল্প জলে। তাই সেগুলো ফলানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই বিষয়ে মত বিনিময় চলছে। কারণ বাংলাদেশের অন্তর্গত সুন্দরবনের যে-সব এলাকায় আয়লার প্রভাব পড়েছিল, সেখানেও অল্প জলে বিকল্প চাষের চেষ্টা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রের কৃষি অনুসন্ধান পরিষদ ছাড়াও আয়লা-বিধ্বস্ত এলাকায় এই ধরনের বিকল্প চাষের কাজে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আর্থিক সাহায্য করছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। সুন্দরবনের আয়তন প্রায় ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার। তার মধ্যে সাড়ে ছ’হাজার বর্গকিলোমিটার
বাংলাদেশে এবং বাকি
অংশ পশ্চিমবঙ্গে।