অসুস্থ অমিত বসেই বাজেট পড়বেন

এ বার অধিবেশনের আগে আরও কিছু সংস্কার করা হয়েছে অধিবেশন কক্ষে। স্পিকারের আসনের একাংশ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তা মেরামত করা হয়েছে। তবে শুধু বসে বাজেট পড়ার ব্যবস্থাই নয়, বাজেট চলাকালীন সদ্য হাসপাতাল থেকে ফেরা অর্থমন্ত্রীর জন্য বিশেষ চিকিৎসক দলও রাখা হচ্ছে।

Advertisement

রবিশঙ্কর দত্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৫
Share:

অমিত মিত্র।

অরুণ জেটলির পথেই এ বার অমিত মিত্র।

Advertisement

শারীরিক কারণে গত দু’বছর আসনে বসেই কেন্দ্রীয় বাজেট পড়েছেন জেটলি। এ বার তিনি কী করবেন তা এখনও অজানা। তবে বাজেটের আগে অসুস্থ হয়ে পড়ায় অমিত মিত্র এ বার আসনে বসেই আগামী ৩১ জানুয়ারি রাজ্য বাজেট পেশ করতে পারেন। নবান্ন থেকে বিধানসভায় তেমনই ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে বলে খবর।

দিন সাতেক আগে শ্বাসকষ্ট নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন অমিতবাবু। সঙ্গে ছিল কাশি ও জ্বর। হাসপাতাল সূত্রের খবর, রবিবার রাত পর্যন্ত জ্বর-কাশি পুরোপুরি সারেনি। শ্বাসকষ্ট অবশ্য অনেকটাই কমে এসেছে অর্থমন্ত্রীর। এমন অবস্থায় বাজেট ভাষণ কে পড়বেন তা নিয়ে সরকারের অন্দরে সংশয় ছিল। তবে সোমবার সকাল থেকে আর জ্বর না আসায় অর্থ দফতরের কর্তারা স্বস্তিতে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ, মঙ্গলবারই অর্থমন্ত্রীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তিনি যাতে নির্দিষ্ট আসনে বসেই বাজেট বক্তৃতা করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করতে নবান্ন থেকে বিধানসভায় অনুরোধ করা হয়েছে।

Advertisement

অধিবেশন কক্ষে মুখ্যমন্ত্রী বসেন ৩০০ নম্বর আসনে। অর্থমন্ত্রীর আসন তাঁর ঠিক সামনে ২৯৪ নম্বরে। নবান্নের অনুরোধে সেই আসনেই বিকল্প ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। বাজেট বক্তৃতা দাঁড়িয়ে প়ড়াই রীতি। সে জন্য অর্থমন্ত্রীর সামনে একটি কাচের উঁচু পোডিয়াম রাখা হয়। এ বার সে সব থাকছে না। অর্থমন্ত্রীর আসনের ঠিক সামনে বাজেটের বই রাখার ব্যবস্থা করেছে পূর্ত দফতর।

রাজ্য বিধানসভার সচিব জয়ন্ত কোলের কথায়,‘‘অর্থ দফতর থেকে এই অনুরোধ করা হয়েছিল। পূর্ত দফতরের সঙ্গে কথা বলে সেই মতো ব্যবস্থা করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী চাইলে বসে বলতে পারবেন।’’

এ বার অধিবেশনের আগে আরও কিছু সংস্কার করা হয়েছে অধিবেশন কক্ষে। স্পিকারের আসনের একাংশ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তা মেরামত করা হয়েছে। তবে শুধু বসে বাজেট পড়ার ব্যবস্থাই নয়, বাজেট চলাকালীন সদ্য হাসপাতাল থেকে ফেরা অর্থমন্ত্রীর জন্য বিশেষ চিকিৎসক দলও রাখা হচ্ছে। বিধানসভার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সাধারণত সব সময়ই বিধানসভায় চিকিৎসক থাকেন। অধিবেশন চলাকালীন তাঁরা মূল ভবনেই থাকেন। বাজেটের দিনও তাঁরা তৎপর থাকবেন।’’

বছর দুই আগে দীর্ঘ সময় ধরে কেন্দ্রীয় বাজেট পড়তে পড়তে পিঠে ব্যাথায় কাবু হয়ে পড়েছিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। গত বছর তিনি নির্দিষ্ট আসনে বসেই বাজেট পড়েছিলেন। এ বার সেই পথে অমিতবাবুও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন