ডিএ বাড়বে, আশ্বাস দিয়ে রাজ্যে ভোট চাইলেন অমিত

লোকসভা ভোটে জমি পেতে বিজেপির এই কৌশলকে অবশ্য এদিনই পাল্টা আক্রমণ করেছেন রাজ্যের শাসকদল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৪১
Share:

প্রতীকী ছবি।

লোকসভা ভোটের মুখে এই রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ‘মন’ পেতে বেতন-কৌশল নিলেন বিজেপির সর্ববারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। মঙ্গলবার মালদহের সমাবেশে তাঁর আগাম প্রতিশ্রুতি, বিজেপি এ রাজ্যে ক্ষমতায় এলে সরকারি কর্মীদের বেতন ও মহার্ঘভাতা দুই-ই বাড়ানো হবে। লোকসভা ভোটে জমি পেতে বিজেপির এই কৌশলকে অবশ্য এদিনই পাল্টা আক্রমণ করেছেন রাজ্যের শাসকদল।

Advertisement

রাজ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াই হবে ২০২১ সালে। সেই লক্ষ্যে এদিন মালদহের সভায় শাহ বলেন, ‘‘সারা দেশে সপ্তম বেতন কমিশন চলছে। এখানে তো পঞ্চম কমিশন চলছে। একবার এখানে পদ্ম ফুটিয়ে দেখুন। আমরা সপ্তম কমিশন চালু করে দেব।’’ সেই সঙ্গেই মহার্ঘভাতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘‘কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্যে কর্মীরা ৪৯ শতাংশ কম পান। কোথায় গেল সেই টাকা? সব টাকা তো নারদ-সারদা-রোজভ্যালি কেলেঙ্কারিতে চলে গিয়েছে।’’

বিজেপি সভাপতির এই মন্তব্য নস্যাৎ করে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শিক্ষক, সরকারি কর্মচারীরা এক তারিখে বেতন পাচ্ছেন। ডিএ যা দেওয়া সম্ভব, দেওয়া হচ্ছে। আগে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার আগে যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেগুলি পালন করুন। বাংলার মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। লাভ হবে না। বিজেপি সভাপতি জানেন না, এ রাজ্যে বিপুল পরিমাণ ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেও উন্নয়ন হয়েছে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটে সাম্প্রদায়িক বিভাজনই কৌশল, বোঝালেন অমিত শাহ

কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ূষ্মান প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থানের সমালোচনা করে বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘‘মমতাদি এই প্রকল্প এখানে আটকে দিচ্ছেন। পোস্ট অফিসে ঘেরাও হচ্ছে। পুলিশ পাঠাচ্ছে। এমপি, এমএলএ-রা কার্ড নিয়ে নিচ্ছেন। বাংলার পাঁচ কোটি মানুষকে এই সাহায্য দিতে চাই।’’ এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘আয়ূষ্মান-কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামে রাজনৈতিক প্রচার আমরা করতে গেব না। যেখানে রাজ্যের টাকা আছে, সেখানে কেন মোদীর নাম থাকবে? রাজ্যের নাম থাকবে না কেন?’’

আরও পড়ুন: ভিক্টোরিয়া স্মরণেও হিন্দু সেনার উৎসাহ

এদিনের সভায় ১২৯ টি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের তালিকা বের করে পড়তেও শুরু করেন শাহ। তারপরে বলেন, ‘‘দিল্লি টাকা দিচ্ছে।য় কিন্তু আপনাদের সে টাকা আপনাদের কাছে পৌঁছতে দিচ্ছেন না দিদি।’’ পার্থবাবুর পাল্টা বক্তব্য, একের পর এক প্রকল্পে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে কেন্দ্র। তারপর এই সব কথা অর্থহীন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন