Congress

Congress: নেতাকে তুলে নিয়ে যাওয়া ঘিরে ক্ষোভ

পুলিশ-কর্তারা ঘটনার বিষয়ে সরকারি ভাবে মুখ খোলেননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:৫৫
Share:

ফাইল ছবি

পুরভোট এবং তার পরে দলের প্রার্থী ও কর্মীদের উপরে হামলার প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস। তারই মধ্যে দলের কলকাতার এক জেলা সভাপতিকে আচমকা গাড়িতে তুলে পুলিশের নিয়ে চলে যাওয়া ঘিরে বিতর্ক বাধল। রাতে অবশ্য ওই নেতাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে লালবাজার থেকে।

Advertisement

কলকাতায় পুরভোটের দিন জাল ভোট, প্রার্থী-এজেন্টদের মারধর এবং ভোটের পরেও প্রার্থী রবি সাহাকে বিবস্ত্র করে মারার মতো অভিযোগে রাস্তায় প্রতিবাদে নেমেছে কংগ্রেস। কিছু জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচি হয়েছে মঙ্গলবার। উত্তর কলকাতায় বুধবার হেদুয়ার মোড়ে জমায়েত করে কলকাতা পুলিশের ডিসি (উত্তর)-এর দফতরে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। সেই কর্মসূচির পরে দলের কিছু সহকর্মীর সঙ্গে এন্টালি থানায় গিয়েছিলেন মধ্য কলকাতা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সুমন পাল। ভোটের দিন শিয়ালদহে টাকি হাইস্কুলের কাছে বোমা পড়ার ঘটনায় ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস ব্লক সভাপতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই ঘটনার বিষয়েই দলের নেতারা থানায় গিয়েছিলেন বলে কংগ্রেসের বক্তব্য। থানা থেকে বেরোনোর পরে আচমকাই একটি টাটা সুমো থেকে কয়েক জন নেমে সুমনকে তুলে নিয়ে চলে যায় বলে তাঁর সঙ্গীদের অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে প্রতিবাদে নামেন কংগ্রেস নেতারা, পুলিশকে তাঁরা জেলা সভাপতিকে ‘অপহরণ’ করার অভিযোগও জানান। পরে জানা যায়, লালবাজার থেকে পুলিশের টিমই সুমনকে নিয়ে গিয়েছে!

পুলিশ-কর্তারা ঘটনার বিষয়ে সরকারি ভাবে মুখ খোলেননি। তবে লালবাজার সূত্রে বলা হয়েছে, ভোটের দিনের ওই ঘটনার সূত্রেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুমনকে নিয়ে আসা হয়েছিল। রাতে তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস নেতারা অবশ্য পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব। তাঁদের প্রশ্ন, একটা স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের জেলা সভাপতিকে এ ভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে কেন? প্রদেশ কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকারের বক্তব্য, ‘‘পুরভোটের দিন বোমাবাজি-সহ যে সব ঘটনা সারা দেশ দেখেছে, তার থেকে নজর ঘোরানোর জন্য এখন কংগ্রেসের ঘাড়ে দায় চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে। এ সব করে কংগ্রেসের লড়াইকে দমানো যাবে না।’’

Advertisement

পুরভোটের ফল ঘোষণার পরেই ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজিনগরে সিপিএমের শাখা সংগঠনের যে সব কার্যালয় দখল করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে, বাস্তুহারা কমিটি ছাড়া বাকিগুলি এ দিনই উদ্ধার করেছে সিপিএম। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ভর্ৎসনার সুরে বলেছেন, ‘‘কাজটা ভাল হচ্ছে না। মানুষের ক্ষোভ থাকলেও তাকে অগণতান্ত্রিক ভাবে কাজে লাগানো উচিত নয়।’’ সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনও ‘একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে তৃণমূলের অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপের’ নিন্দা করেছে। পুরসভায় বিজেপির ভোট কমে যাওয়াকে স্বস্তিদায়ক বলে বর্ণনা করে বাম, গণতান্ত্রিক শক্তির আন্দোলনকে ধারালো করার ডাক দিয়েছে তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement