পূজালিতে বিজেপির বাকি একও তৃণমূলে

দলের রাজ্য দফতরে এসে যাঁরা দাবি করেছিলেন, যা-ই ঘটুক, দল বদল করবেন না, তাঁদের এক জন আগেই তৃণমূলে গিয়েছেন। অবশিষ্ট জনও শনিবার চলে গেলেন তৃণমূলে। তাঁর নাম চিন্ময় বারুই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৭ ০২:৪২
Share:

দলের রাজ্য দফতরে এসে যাঁরা দাবি করেছিলেন, যা-ই ঘটুক, দল বদল করবেন না, তাঁদের এক জন আগেই তৃণমূলে গিয়েছেন। অবশিষ্ট জনও শনিবার চলে গেলেন তৃণমূলে। তাঁর নাম চিন্ময় বারুই।

Advertisement

সাত পুরসভার ভোটের ফল বেরনোর পর দিন বৃহস্পতিবার পূজালি পুরসভায় জয়ী বিজেপির দুই কাউন্সিলর রুম্পা ঘড়ুই ও চিন্ময় দলের রাজ্য দফতরে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পাশে বসে ঘোষণা করেন, বিজেপি বিক্রি হয় না। তাঁরাও বিক্রি হবেন না। তাঁরা বিজেপিতেই থাকবেন। এই বড়াইয়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শুক্রবার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুম্পা তৃণমূলে যোগ দেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চিন্ময়ও শাসক দলে যোগ দিলেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, চিন্ময়কে এ দিন সকালে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। প্রলোভনও দেখানো হয়। তারই পরিণতিতে তৃণমূলের কার্যালয়ে গিয়ে দল বদল করেন চিন্ময়।

দিলীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা রুম্পা ও চিন্ময়ের পরিবারের লোকেদের হুমকি দিয়েছে। ধারাবাহিক হুমকির মুখে ওঁদের পক্ষে সোজা দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব হয়নি।’’ রাজ্য বিজেপি-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র অভিযোগ, রুম্পার স্বামী এবং দেওরকে পুলিশ হুমকি দিয়েছিল, রুম্পা তৃণমূলে যোগ না দিলে তাঁদের ধর্ষণের মামলায় ফাঁসানো হবে। জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক গৌতম দাশগুপ্ত অবশ্য এই সব অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, ‘‘উন্নয়নে সামিল হতে চেয়ে চিন্ময়বাবুই আমাদের সাংসদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সাংসদ আমাদের সে কথা জানান। তার পর চিন্ময়বাবু আমাদের দলে যোগ দেন।’’

Advertisement

তাৎপর্যপূর্ণ হল, পূজালির দুই দলীয় কাউন্সিলরই তৃণমূলে যাওয়ায় বিজেপি-র সাংগঠনিক ভিত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলেই। দলের একাংশের প্রশ্ন, সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের নির্দেশে বুথ স্তরের সংগঠন মজবুত করা হচ্ছে। তা নিয়ে প্রচারও হচ্ছে বিপুল। কিন্তু বজ্র আঁটুনির সব গেরোই এ ভাবে ফস্কে যাচ্ছে কেন? এটা কর্মীদের মতাদর্শের দুর্বলতা না নেতৃত্বের ব্যর্থতা, তা নিয়েও চর্চা হচ্ছে দলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন