dengue death

শহরে ডেঙ্গিতে মৃত আরও এক, সাত দিনে তিন জন মহিলার মৃত্যু কলকাতাতেই

এই নিয়ে গত সাত দিনে চার জনের মৃত্যু হল শহরে। ঘটনাচক্রে মৃতদের মধ্যে তিন জনই মহিলা। এঁদের মধ্যে দু’জন আবার হরিদেবপুরের ব্যানার্জিপাড়ার বাসিন্দা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:৫২
Share:

ডেঙ্গি বাড়ছে শহরে এবং রাজ্যেও।

পুজোর আগে ডেঙ্গি কি আরও মারাত্মক চেহারা নিতে চলেছে? শহরে আরও এক ডেঙ্গিতে মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে। রবিবার আরও এক জন মহিলার মৃত্যু হল ডেঙ্গিতে। হরিদেবপুরের বাসিন্দা ওই রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শেষ পর্যায়ে তাঁর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ায় ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দিতে হয়েছিল রোগীকে। রবিবার ভোর ৫টায় তিনি মারা যান। মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেথ সার্টিফিকেটে ‘ডেঙ্গি শক সিনড্রোম’-এর কথাই বলা হয়েছে।

Advertisement

মৃত মহিলার নাম কৃষ্ণা গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বয়স ৫৬। তিনি হরিদেবপুরের ব্যানার্জিপাড়ার বাসিন্দা। গত সোমবার প্রথম জ্বর আসে তাঁর। ওই দিনই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শনিবার আচমকা অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে নিয়ে আসা হয় বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সে খানে তাঁর অধিকাংশ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হতে শুরু করায় ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেওয়া হয়। পরে রবিবার ভোরে মারা যান কৃষ্ণা।

এই নিয়ে গত সাত দিনে চার জনের মৃত্যু হল শহরে। ঘটনাচক্রে মৃতদের মধ্যে তিন জনই মহিলা। এঁদের মধ্যে দু’জন আবার হরিদেবপুরের ব্যানার্জিপাড়ার বাসিন্দা। গত ৪ সেপ্টেম্বর হরিদেবপুরের ব্যানার্জি পাড়ার শর্মিলা চ্যাটার্জি মারা যান ডেঙ্গিতে। ৮ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয় গড়ফার মৌমিতা মুখোপাধ্যায়ের (৪১)। সূত্রের খবর, মৃতা কৃষ্ণার ছেলেও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন দিন কয়েক আগে। তবে, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি।

Advertisement

পুজোর আগেই শহরে ডেঙ্গির এই উপদ্রবে চিন্তায় পড়েছে প্রশাসন। যদিও রবিবারের এই মৃত্যুর ঘটনার পর স্বাস্থ্য দফতরের কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। গত ৫ সেপ্টেম্বর রাজার হাটের যুবক বছর কুড়ির শেখ ফিরোজউদ্দিনেরও মৃত্যু হয় আর জি কর হাসপাতালে। তার আগে হাওড়া এবং হুগলিতেও একাধিকে মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে। এই নিয়ে রাজ্যে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা ১১ ছুঁল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন