এই বেদি ভাঙাকে কেন্দ্র করেই অশান্তি চরমে ওঠে ভাঙড়ে।
রাতের অন্ধকারে নির্মীয়মান শহিদ বেদি ভাঙাকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়ের প্রস্তাবিত পাওয়ার সাব স্টেশন সংলগ্ন এলাকা।
আগামী ১৭ জানুয়ারি শহিদ দিবস পালন করবে পাওয়ার গ্রিড বিরোধী জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র বাঁচাও কমিটি। সে কারণেই প্রস্তাবিত পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনে মৃত্যু হওয়া তিনজনকে শহীদের সম্মান দিয়ে তিনটি শহিদ বেদি তৈরি করে কমিটি।
কমিটির পক্ষ থেকে আহ্বায়ক মির্জা হাসান বলেন, ‘‘শ্যামনগর, নতুনহাট এবং খামারআইটে তিনটি শহিদ বেদি তৈরি করা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে কমিটির সদস্যরা দেখেন, শ্যামনগর চৌমাথায় তৈরি করা শহিদ বেদির ইট-সিমেন্টের কাঠামো ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ভাঙা ইট, কংক্রিটের টুকরো!’’
(ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।)
আরও পড়ুন: ঐক্যের বার্তা দেওয়ার পরেও দ্বন্দ্বের অভিযোগ
খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কমিটির সদস্যরা। তাঁরা অভিযোগ করেন, শাসক দল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই ভেঙে দিয়েছে শহিদ বেদি। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাশীপুর থানার পুলিশ বাহিনী। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আশ্বাস দেয়, তারা বেদি তৈরি হওয়ার সময় প্রহরা দেবেন। তারপর বিক্ষোভ ওঠে। পুলিশের উপস্থিতিতে ফের শুরু হয় বেদি নির্মাণের কাজ।
আরও পড়ুন: জেলাশাসক কাণ্ডে অভিষেকের ফোন গেল কলকাতায়
অন্যদিকে, এখনও প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সাব স্টেশন নির্মাণের কাজ পুরোদমে শুরু করতে পারেনি পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড। কমিটির বাধাতে এখনও কাজ বন্ধ থাকায় বিদ্যুতের টাওয়ার বসানোর কাজও শুরু করা যায়নি। রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন পর্ষদের দায়িত্ব প্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়াররাই স্বীকার করছেন, এ মাসেই সাব স্টেশন চালু করার যে পরিকল্পনা ছিল সরকারের, তা কার্যত বিশ বাঁও জলে।
(পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার খবর এবং বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকেবাংলায় খবরপেতে চোখ রাখুন আমাদেররাজ্যবিভাগে।)