ঘোষণা: দলের বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডল। রবিবার সিউড়িতে। নিজস্ব চিত্র
পঞ্চায়েত নির্বাচন অতীত, এ বার সামনে তাকানোর পালা— তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে দলের বিভিন্ন দায়িত্বে একগুচ্ছ বদল করে এমনই বার্তা দিলেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। রবিবার বিকেলে ওই বৈঠক হয় জেলাসদর সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া একটি অনুষ্ঠান ভবনে। দলীয় সূত্রে খবর, বৈঠকে উপস্থিত ছিলের জেলার দুই মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রনাথ সিংহ, বীরভূম ও অনুব্রতের দায়িত্ব থাকা পূর্ব বর্ধমানের প্রায় সব বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক ও কোর কমিটির সদস্যেরা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উল্লেখযোগ্য বদল হয়েছে মূলত তিনটি। বিকাশ রায়চৌধুরী জেলা পরিষদের সভাধিপতির পাশাপাশি ছিলেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র সভাপতির দায়িত্বেও। বিকাশবাবুকে আইএনটিটিইউসি-র সভাপতির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সেখানে আনা হয়েছে নুরুল ইসলামকে। তিনি দলের সিউড়ি ২ ব্লকের সভাপতি, কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ও জেলা সংখ্যালঘু সভাপতি ছিলেন। তাঁকে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হলেও জেলা সংখ্যালঘু সভাপতি করা হল সিউড়ি পুরসভার জনপ্রতিনিধি কাজী ফরজুদ্দিনকে। জেলার ১৯টি ব্লকের মধ্যে শুধু খয়রাশোলের ব্লক সভাপতি সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হল দীপক ঘোষকে।
কেন এই বদল? অনুব্রত প্রকাশ্যে বলছেন, ‘‘খয়রাশোলে সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় কাজ করতে পারছিলেন না। তাই দীপক ঘোষ।’’ দলের অন্দরের খবর, বরাবরই ব্লক সভাপতি সুকুমারকে ছাপিয়ে গিয়েছেন দীপক। পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট বিলির সময়ে বিরোধী শিবিরকে কিছু টিকিট দিয়ে খয়রাশোলে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অনেকটা বাগে আনতে সক্ষম হন দীপক। কাজী ফরজুদ্দিনের জেলায় দলের সংখ্যালঘু সভাপতি হওয়ার পিছনে বিগত দিনের তাঁর কর্মকাণ্ড রয়েছে। তবে বিকাশবাবুকে আইএনটিটিইউসির দায়িত্ব থেকে সরানোর প্রকৃত কারণ অজানা।
বৈঠকে অনুব্রত বার্তা দেন, ৩ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার রায় বের হওয়ার পর থেকেই কাজের জন্য ঝাঁপাতে হবে। পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের ভাবনা, কে প্রধান, কে উপপ্রধান হবেন তা ঠিক করতে হবে। সমস্যা মেটানোর জন্য প্রতিটি ব্লক সভাপতির সঙ্গে দলের শীর্ষনেতাদের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে। অনুব্রতের কথায়, ‘‘লোকসভা নির্বাচনের আগে আরও বেশি করে মানুষের কাছে যেতে হবে। প্রচার করতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মকাণ্ডের কথা।’’