মঙ্গলকোটে অনুব্রত। ছবি : অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়।
এত দিন তাঁর মুখে চোখ গেলে দেওয়া বা তির মারার হুমকি শোনা গিয়েছে। এ বার দলে থেকে যারা বেগড়বাই করছে, তাদেরও পেটানোর নিদান নিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত ওরফে কেষ্ট মণ্ডল। পুলিশকে বার্তা দিলেন, অপরাধীদের থানায় নিয়ে গিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার। অশান্তি হলে সামলে দেওয়ার দায়িত্বও কাঁধে নিলেন একেবারে চেনা স্টাইলে! যা শুনে বর্ধমান জেলা পুলিশের এক কর্তার জবাব, ‘‘ওঁর বক্তব্য শুনিনি। আইন অনুযায়ী যা করার, তাই করা হবে।’’
রবিবার বিকেলে মঙ্গলকোটের এক সভায় অনুব্রত বলেন, ‘‘লুম্পেন, চিটিংবাজদের হাতে দল তুলে দেব না।’’ তার পরই দলীয় কর্মীদের বলেন, ‘‘যারা এই সব কাণ্ড করে বেরাচ্ছে, তাদের লাইট পোস্টে বেঁধে মেরে হাত-পা গুঁড়িয়ে দেবেন! পাশে আমি আছি।’’
বিধানসভা ভোটের প্রার্থী ঘোষণা থেকেই প্রকাশ্যে আসে মঙ্গলকোটের ব্লক তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীর সঙ্গে বর্তমান বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর দ্বন্দ্ব। সেই দ্বন্দ্বে রাশ টানতেই অনুব্রতর এমন দাওয়াই বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কর্মীরা কোন দিকে যাবেন, তার প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত অনুব্রতর বক্তব্যের আগেই দিয়ে দেন বীরভূম জেলার সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ। তিনি বলেন, ‘‘অপূর্ব চৌধুরীর হাত দিয়েই মঙ্গলকোটে সংগঠন হবে। ব্লক সভাপতি সংগঠন করবেন, এটাই নিয়ম।’’ পরে অনুব্রতও বলেন, ‘‘আপনারা অপূর্বর সঙ্গে থাকবেন। সংগঠনটা ওই করে।’’ বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। বিধায়ক ঘনিষ্ঠ জেলা পরিষদের সদস্য বিকাশ চৌধুরী বলেন, ‘‘ওই মঞ্চ থেকে বিধায়কের নামে কুৎসা করা হয়েছে।’’