খাগড়াগড়ের চার্জশিটে নাম বাদ ফারুকের

সব ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসেই খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলার চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করতে চলেছে এনআইএ। যেটাকে জেএমবি (জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ) ষড়যন্ত্র মামলাও বলা হয়।

Advertisement

সুরবেক বিশ্বাস

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৭ ০৩:৪১
Share:

সব ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসেই খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলার চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করতে চলেছে এনআইএ। যেটাকে জেএমবি (জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ) ষড়যন্ত্র মামলাও বলা হয়। অথচ পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতে জেএমবি-র শীর্ষ নেতা আনোয়ার হোসেন ফারুক ওরফে জামাই ফারুকের নামই চার্জশিটে থাকবে না বলে এনআইএ সূত্রের খবর।

Advertisement

লালগড় আন্দোলন পর্বে সেখানে কোনও নাশকতার মামলায় মাওবাদী নেতা কিষেণজির নাম বাদ পড়লে যা হতো, ব্যাপারটা প্রায় সেই রকম বলে গোয়েন্দাদের অভিমত।

লালবাজারের গোয়েন্দাদের হাতে পাঁচ মাস আগে ধরা পড়ার পরে আজ পর্যন্ত ফারুককে এক দিনের জন্যও নিজেদের হেফাজতে নিতে আদালতে আবেদন করেনি এনআইএ। ওই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী শ্যামল ঘোষ বলেন, ‘‘খাগড়াগড় মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে মহম্মদ রফিক, শহিদুল ইসলাম, জবিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে চার্জশিট এ মাসেই আদালতে পেশ করা হবে। ওটাই চূড়ান্ত চার্জশিট। তার পরে ফের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা।’’

Advertisement

গত ২৪-২৫ সেপ্টেম্বর ফারুক ও তার জঙ্গি সংগঠনের আরও পাঁচ জন— মহম্মদ ইউসুফ, আবুল কালাম, মহম্মদ রফিক, শহিদুল ইসলাম ও জবিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। পাঁচ অভিযুক্ত ধরা পড়েছে বলে কলকাতার এনআইএ-আদালতে ওই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়।

ধৃতদের মধ্যে খাগড়াগড় মামলায় ইউসুফ ও কালামের বিরুদ্ধে আগেই চার্জশিট পেশ করেছিল এনআইএ। তারা ওই মামলায় রফিক, শহিদুল ও জবিরুলকে খুঁজছিল ঠিকই। তবে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট তখনও পেশ করা হয়নি। আর বাংলাদেশের ‘জামাই’ ফারুক যে এ দেশে ঘাঁটি গেড়ে থাকতে পারে, সেই সম্পর্কে এনআইএ-র কোনও ধারণা ছিল না। ফারুকের নাম ছিল না ওই মামলায়, এখনও নেই।

কলকাতা পুলিশের হাতে ফারুক ধরা পড়ার পরে এনআইএ জানতে পারে, সে ভারতে জেএমবি-র অর্থনৈতিক প্রধান, আর এ দেশে সংগঠনের পদমর্যাদায় সে দু’নম্বরে। বাংলাদেশে সে

‘মোস্ট ওয়ান্টেড’। তা সত্ত্বেও এনআইএ খাগড়াগড় মামলায় ফারুকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে না-পারায় বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের একাংশ হতাশ বলে জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আইবি। তাদের এক অফিসার বলেন, ‘‘ও-পার বাংলার গোয়েন্দাদের কেউ কেউ বিস্মিত। জেএমবি-র শীর্ষ নেতা কী করে খাগড়াগড় মামলা থেকে বাদ পড়ে?’’

এনআইএ-র একটি সূত্রে বলা হচ্ছে, খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলায় ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার মতো তথ্যপ্রমাণ মেলেনি। তবে আইবি-র গোয়েন্দাদের একাংশের মতে, এটাই এনআইএ-র ব্যর্থতা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন