কোলনোস্কোপি-র জন্য অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করানোর পাঁচ দিনের মাথায় মৃত্যু হয় চার মাসের কুহেলী চক্রবর্তীর। সেই ঘটনায় অ্যাপোলো হাসপাতালের তরফে যথেষ্ট গা-ছাড়া মনোভাব ও সমন্বয়ের অভাব খুঁজে পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন। ওই নিয়ন্ত্রক কমিশনের একটি সূত্রের খবর, এই গাফিলতির জন্য অ্যাপোলো হাসপাতালের ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে।
গত ৫ মে অ্যাপোলোর কর্তা ও অভিযুক্ত চিকিৎসকদের শুনানির জন্য কমিশনে ডাকা হয়। সকলের সঙ্গে কথা বলে এবং নথিপত্র খতিয়ে দেখে হাসপাতালের গাফিলতির বিষয়ে কমিশনের সদস্যেরা একমত হন। কমিশনের এক কর্তা জানান, তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, অভিযুক্ত তিন চিকিৎসক রোগীকে বাঁচাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেননি। তবে তাঁদের বিষয়টি কমিশন দেখবে না। সেটি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে পাঠানো হচ্ছে। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ অবশ্য বৃহস্পতিবার জানান, বিষয়টি এখনও তাঁদের হাতে আসেনি।
১৫ এপ্রিল কুহেলীকে ইএসআই হাসপাতাল থেকে কোলনোস্কোপির জন্য অ্যাপোলোয় ভর্তি করানো হয়। ১৯ এপ্রিল সে মারা যায়। কমিশনের একটি সূত্র অ্যাপোলোর ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানার সম্ভাবনার কথা বললেও অন্য সূত্র জানিয়েছে, ২৩ জুন কমিশনের বৈঠকে ক্ষতিপূরণের পরিমাণের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অ্যাপোলো-কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কমিশনের থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁদের কিছুই জানানো হয়নি।
কুহেলীর মা সালু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমাদের টাকার দরকার নেই। আমরা শুধু চাই, দোষী চিকিৎসকদের শাস্তি হোক। তাঁরা যাতে আর চিকিৎসা করতে না-পারেন।’’