পুরপ্রধানের পদ হারালেন অর্জুন

অর্জুন অবশ্য আত্মবিশ্বাসী। বললেন, ‘‘আসল খেলা হবে পুরপ্রধান নির্বাচনের সময়ে।’’ যদিও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ভোটাভুটি এড়াতে চেষ্টা করে গিয়েছিলেন অর্জুন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৫৭
Share:

অর্জুন সিংহ।—ফাইল চিত্র।

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পরে এ বার ভাটপাড়া পুরসভার পুরপ্রধানের পদ হারালেন অর্জুন সিংহ। বিজেপিতে যোগ দিয়ে অর্জুন দাবি করেছিলেন, পুরসভার ৩৩ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ২২ জনই তাঁর সঙ্গে আছেন। সোমবার অনাস্থা প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটিতে দেখা গেল, ২২ জন কাউন্সিলরই ভোট দিলেন অর্জুনের বিরুদ্ধে।

Advertisement

অর্জুন অবশ্য আত্মবিশ্বাসী। বললেন, ‘‘আসল খেলা হবে পুরপ্রধান নির্বাচনের সময়ে।’’ যদিও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ভোটাভুটি এড়াতে চেষ্টা করে গিয়েছিলেন অর্জুন। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই আর্জি খারিজ হয়ে যাওয়ায় ভোটাভুটি অনিবার্য হয়ে পড়ে। এ দিন পুরসভায় কাউন্সিলরদের নিয়ে ডাকা বৈঠককে বেআইনি বলে ফের এক দফা শোরগোল জোড়েন অর্জুন ও তাঁর সঙ্গীরা। তা নিয়ে বাকিদের সঙ্গে তর্কাতর্কিও বাধে। শেষমেশ ভোটাভুটি এড়াতে পারেননি অর্জুন। ২২ জন কাউন্সিলরই তাঁর বিপক্ষে হাত তুলে ভোট দিয়েছেন। পক্ষে হাত তুলেছেন মাত্র ১১ জন।

অর্জুন বলেন, ‘‘আমার পক্ষে যে সব কাউন্সিলরেরা আছেন, তৃণমূল তাঁদের বন্দুক দেখিয়ে আমার বিরুদ্ধে ভোট দিতে বাধ্য করেছে। আসল তাস তো আমি খেলিইনি। তাতে ওই কাউন্সিলরেরা বিপদে পড়তেন। ’’

Advertisement

যা শুনে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার উপ-পুরপ্রধান সোমনাথ তালুকদারের কটাক্ষ, ‘‘উনি তো খেলা দেখিয়েই যাচ্ছেন। তবে ওঁর খেলোয়াড়দের মাঠে দেখা যাচ্ছে না, এই যা!’’ পুরপ্রধান কে হবেন, তা নিয়ে এখনও ঘোষণা করেনি তৃণমূল। নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘‘এ বিষয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত চাওয়া হবে। তিনি যাঁকে চাইবেন, তাঁকেই পুরপ্রধান করা হবে।’’ প্রশাসনের নির্দেশে আপাতত কাজকর্ম চালাবেন উপ পুরপ্রধান। আগামী শুক্রবার নতুন পুরপ্রধান নির্বাচনের বৈঠক হবে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। সোমনাথ জানান, ভোটের ফল এবং সিদ্ধান্ত জেলাশাসক ও পুর দফতরে পাঠানো হয়েছে।

অর্জুন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার তিন দিনের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছিল তৃণমূল। তাতে ২১ জন কাউন্সিলরের সই ছিল। অনাস্থা প্রস্তাব এলে পনেরো দিনের মধ্যে বৈঠক ডেকে আস্থাভোটের মুখোমুখি হতে হয়। অর্জুন তা না করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট আর্জি খারিজ করলেও বৈঠক ডাকেননি অর্জুন। নিয়ম বলছে, পুরপ্রধান বৈঠক না ডাকলে পনেরো দিন পরে কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক ডাকতে পারেন উপ পুরপ্রধান। সোমবার সেই বৈঠকই ডেকেছিলেন সোমনাথ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন