CBI

‘আমি চিটফান্ডে যুক্ত নই’, আদালতে যাওয়ার পথে দাবি হালিশহরের ধৃত তৃণমূল পুরপ্রধানের

চিটফান্ড মামলায় গ্রেফতার হওয়া হালিশহরের তৃণমূল পুরপ্রধান রাজু সাহানিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আসানসোলের সিজিএম আদালতে। সেখানে তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:৪১
Share:

চিটফান্ড মামলায় গ্রেফতার করা হয় হালিশহরের পুরপ্রধানকে। ফাইল চিত্র।

চিটফান্ড মামলায় গ্রেফতার হওয়া হালিশহরের তৃণমূল পুরপ্রধান রাজু সাহানিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আসানসোলের সিজিএম আদালতে। সেখানে যাওয়ার আগে মুখ খুললেন রাজু। তাঁর দাবি, তিনি কোনও চিটফান্ড মামলায় যুক্ত নন। তদন্ত হলেই প্রমাণ হয়ে যাবে।

Advertisement

শুক্রবার বিকালে রাজুর হালিশহরের বাড়িতে অভিযান চালায় সিবিআই। উদ্ধার হয় প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা-সহ বিভিন্ন ‘ডিড’। সেই সঙ্গে তৃণমূল নেতার বিদেশের ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট আছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাজুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দেশি পিস্তলও। ধৃত রাজুকে শনিবার তোলা হয় আসানসোল আদালতে। রক্ষিবেষ্টিত রাজু গাড়ি থেকে নামার সময় বলেন, ‘‘আমি কোনও কিছুর সঙ্গে যুক্ত নেই। শীঘ্রই বুঝতে পারবেন।’’ রাজুর পরিচিতদের দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।

অন্য দিকে, সিবিআই সূত্রে খবর, ‘সানমার্গ’ চিটফান্ডর দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত রাজুর প্রচুর সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবার রাজুর কাছ থেকে নগদ প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। তাইল্যান্ডে তাঁর একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, এই চিটফান্ড মামলার তদন্তে নেমে তারা জানতে পারে বহু প্রভাবশালীর কাছে ‘প্রোটেকশন মানি’ যেত। তার মধ্যে অন্যতম এই রাজু। উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট চিটফান্ড মামলায় এর আগে বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান প্রণব চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন।

Advertisement

রাজুর বাবা লক্ষ্মণ সাহানি ছিলেন হালিশহরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএম নেতা এবং কাউন্সিলর। বেশ কয়েক বছর আগে লক্ষ্মণ সাহানি তৃণমূলে যোগ দেন। বাবার মতো রাজুও যোগ দেন শাসক দলে। এখন তিনিই হালিশহর পুরসভার প্রধান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন