অশোক ধওয়লে।—ফাইল চিত্র।
সিঙ্গুর থেকে রাজভবন পদযাত্রার পরে শিলিগুড়ির কৃষক মিছিলে ভিড় হয়েছে ভালই। শিলিগুড়ির পরে এ বার কৃষক সভার সর্বভারতীয় সভাপতি অশোক ধওয়লেকে কলকাতায় নিয়ে আসছে সিপিএম। মহারাষ্ট্রের ‘কিসান লং মার্চে’র অন্যতম প্রধান কারিগরকে সামনে রেখেই বাংলায় সংগঠনকে উজ্জীবিত করতে চাইছে আলিমুদ্দিন। সাধারণ ধর্মঘট ও ব্রিগেড সমাবেশকে উপলক্ষ করে লাগাতার রাস্তায় থাকার কর্মসূচিও নিয়েছে তারা।
শহরে আগামী ৩ জানুয়ারি সিপিএমের দৈনিক মুখপত্রের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে এ বার প্রধান বক্তা ধওয়েলে। ওই অনুষ্ঠানে প্রতি বার সচরাচর দলের রাজ্য নেতারাই বক্তৃতা করেন। দেশ জুড়ে কৃষক আন্দোলন ঘিরে আলোড়নকে মাথায় রেখে এ বার সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসুদের পাশাপাশি থাকছেন ধওয়েলে। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘‘তৃণমূলের হাতে বাংলার হাল কী, মানুষ জানেন। বিজেপি যে বিকল্প হতে পারে না, ওঁদের অভিজ্ঞতা থেকে সেটাও বলবেন।’’ শিলিগুড়িতে কৃষক মিছিলের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শুক্রবার সংসদে চা-শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর দাবিতে সরব হয়েছেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। প্ল্যাকার্ড গায়ে ঝুলিয়ে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভও করেছেন।
কৃষক মিছিলের পরে শিলিগুড়িতে কাল, রবিবারই ফের মিছিল করবে বাম শ্রমিক, কর্মচারী ও শিক্ষক সংগঠনগুলি। মহানন্দা থেকে শুরু হয়ে মিছিল যাবে বাঘাযতীন পার্কে। মিছিল শেষে সমাবেশে উপস্থিত থাকার কথা জানুয়ারির সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া শ্রমিক সংগঠনগুলির রাজ্য নেতৃত্ব। শিলিগুড়ির বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‘এখানকার মানুষ আমাদের ডাকে বারবার সাড়া দিচ্ছেন। সে দিনও দেবেন।’’
তার আগে আজ, শনিবার শিক্ষাবন্ধুদের প্রতি ‘বঞ্চনা’র প্রতিবাদে শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ‘ভুখা মিছিলে’র শুরুতে সিটু নেতা অনাদি সাহু, সুভাষ মুখোপাধ্যায় এবং শেষে শ্যামল চক্রবর্তীদের পা মেলানোর কথা। ওই কর্মসূচি হবে ‘শিক্ষাবন্ধু ঐক্য মঞ্চে’র উদ্যোগে।