E-Bus

পরিবহণ দফতরকে ই-বাসের সংখ্যা বাড়ানোর সুপারিশ করল বিধানসভার কমিটি

পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, রাজ্য সরকার প্রায় ১১০০ ই-বাস নামানোর জন্য একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছে। দূষণ কমাতেই এই ধরনের বাস চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৩ ১৬:০৫
Share:

ই-বাস। — ফাইল চিত্র।

আরও বেশি সংখ্যায় ইলেকট্রিক বাস (ই-বাস) নামানোর জন্য সুপারিশ করল বিধানসভার এস্টিমেট কমিটি। সম্প্রতি বিধানসভায় এই সংক্রান্ত বিষয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, বর্তমানে রাজ্য জুড়ে যে সব সরকারি বাস চলছে, সেগুলিকে ই-বাসে বদলানোর বন্দোবস্ত করা হোক। কেন তারা এই ধরনের সুপারিশ করেছে, তার ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

প্রথম কারণ হিসেবে দূষণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে ডিজেল চালিত যানবাহনের কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। দূষণ কমাতে গেলে ই-বাসই একমাত্র পথ। পাশাপাশি, আরও একটি কারণের উল্লেখ করা হয়েছে। ডিজেলের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির কারণে সরকারি পরিবহণ থেকে আয় দিন দিন কমে যাচ্ছে। কারণ ডিজেলের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বাস চালানোর খরচ। এমতাবস্থায় বিকল্প জ্বালানির বাস চালানো জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই ডিজেলের বিকল্প হিসেবে ই-বাস চালানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিধানসভার কমিটি। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, রাজ্য সরকার প্রায় ১১০০ ই-বাস নামানোর জন্য একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে চলতি বছরেই এই বাসগুলি রাস্তায় নামতে শুরু করতে পারে।

অন্য দিকে, বিধানসভার এস্টিমেট কমিটি সরকারি বাসের ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করার বিষয়েও সুপারিশ করেছে। পরিবহণ দফতর যে অর্থের অভাবেই সরকারি বাসের রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকমতো করতে পারছে না, তা-ও উল্লেখ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবে বাসের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ব্যাহত হচ্ছে বলেও জানিয়েছে তারা। যে কারণে অনেক সরকারি বাস বসে গিয়েছে। আবার বেশ কিছু ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ও লাভজনক রুটেও বাসের সংখ্যা কমে গিয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা টাকা না পাওয়ার ফলেই এই সমস্যা হচ্ছে। যার সমাধান পরিবহণ দফতরকে করতে সুপারিশে বলা হয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান শ্রীরামপুরের বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের নেতৃত্বাধীন ২০ জন বিধায়কের কমিটি এই সুপারিশ করেছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন