প্রতীকী ছবি।
অনেক টালবাহানার পর শেষ পর্যন্ত এ বছরেও দুর্গাপুজো করার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। তবে তা দলের পুজো না দলের কতিপয় নেতার পুজো, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রইল।
গত বছর বিধানসভা ভোটের আগে বাঙালির মন জয় করতে বিধাননগরের ইজ়েডসিসি-তে দুর্গাপুজো এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল বিজেপি। বস্তুত, সেটাই ছিল রাজ্যে প্রথম কোনও রাজনৈতিক দলের আয়োজিত দুর্গাপুজো। বিজেপির তৎকালীন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং তাঁর শিবিরের নেতাদের অবশ্য সেই পুজোয় আপত্তি ছিল। দিলীপ ওই পুজোয় যানওনি। তাঁদের বক্তব্য ছিল, পুজো করা কোনও রাজনৈতিক দলের কাজ নয়। পুজো হয়েছিল রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দলের তৎকালীন সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়, সব্যসাচী দত্ত প্রমুখের উদ্যোগে, যাঁরা দিলীপের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসাবে দলের অন্দরে পরিচিত ছিলেন। এ বছর মুকুল তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন। বিধানসভা ভোটে বিজেপির পরাজয়ের পর কৈলাসকে আর এ রাজ্যে দেখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে এ বছর আর পুজো হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। দলের যুব এবং মহিলা মোর্চার কোনও কোনও নেতা-নেত্রী এ বছরও পুজো করতে চাইলে রাজ্য নেতৃত্ব তাঁদের নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু ধর্মীয় প্রথার কারণে শেষ পর্যন্ত তাঁরা পুজোয় অনুমতি দিয়েছেন।
বিজেপি সূত্রের খবর, এক বছর দুর্গাপুজো করলে টানা তিন বছর তা করা ধর্মীয় রীতি। গত বছর দলের রাজ্য সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে পুজোর ‘সঙ্কল্প’ করা হয়েছিল। তাই এ বারও তাঁর নামেই পুজো হবে। সব্যসাচী রবিবার বিজেপির রাজ্য দফতরে গিয়ে প্রতাপের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠকও করে এসেছেন। তবে বিজেপি-র একাংশের দাবি, এ বারের পুজো কয়েক জন নেতার, দলের নয়।
দিলীপ সোমবার বলেন, “রাজনৈতিক দল পুজো করলে মনে হয় তারা সমাজবিচ্ছিন্ন। সমাজের উৎসবে মিশতে পারছে না বলে নিজেরা আলাদা পুজো করছে। নেতারা পাড়ার পুজোয় থাকলে জনসংযোগ হয়। দল এ ভাবেই বাড়ে। কিন্তু এখানে কেউ কেউ পুজো করতে চাইছেন। তাই কয়েক জন নেতা ছোট করে পুজো করবেন। আগের বারের মতো বড় কিছু হবে না।”