Attack on Doctor

গলায় কোপ মেরেছিলেন বাবা! অস্ত্রোপচারের সময় ডাক্তারকেই কুপিয়ে দিলেন বহরমপুরের সেই যুবক

ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গলায় কোপ মেরে দিয়েছেন বাবা। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচার চলাকালীন সেই যুবকই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দিলেন চিকিৎসককে!

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৫ ১২:৩০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গলায় কোপ মেরে দিয়েছেন বাবা। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচার চলাকালীন সেই যুবকই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দিলেন চিকিৎসককে! এই ঘটনায় বহরমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবক বাপন হালদার মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থানার হোগলা দাঁয়ের গ্রামের বাসিন্দা। পরিবারের দাবি, বাপন মানসিক ভারসাম্যহীন। তাঁর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়েই তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন বাবা। রক্তাক্ত অবস্থায় বাপনকে স্থানীয়েরা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন। অভিযোগ, হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময় ওই রোগী চিকিৎসকের শরীরে কাঁচি চালিয়ে দিয়েছেন। ওই ঘটনায় হুলস্থুল হাসপাতাল চত্বরে। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে অপারেশন থিয়েটারে ছুটে যান নিরাপত্তারক্ষীরা। এর পর যুবকের হাত-পা বেঁধে অপারেশন করা হয়। ওই চিকিৎসকের হাতেও সেলাই পড়েছে।

হাসপাতালের অধ্যক্ষ অমিতকুমার দাঁ বলেন, ‘‘ওই যুবক যে মানসিক ভারসাম্যহীন, সেটা প্রথমে বোঝা যায়নি। তাই স্বাভাবিক ভাবেই অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওই যুবককে। কিন্তু সেখানে হঠাৎ করে কর্তব্যরত চিকিৎসকের শরীরে কাঁচি চালিয়ে দেবে, সেটা কেউই বুঝতে পারেননি। তবে ওই চিকিৎসক সুস্থ রয়েছেন। সেলাই পড়েছে।’’

Advertisement

অভিযুক্ত যুবকের আত্মীয় সুমিত হালদার বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছর ধরে বাপনের মানসিক চিকিৎসা চলছে। কিন্তু সময়মতো ওষুধ খায় না বাপন। শুক্রবার সকালে বাড়িতে খুব অত্যাচার শুরু করেছিল। এক সময় নিজের বাবাকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপাতে যায় সে। ওই হাঁসুয়া নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যায় বাপ-বেটার মধ্যে। সেই সময় একটা কোপ বাপনের গলায় লাগে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement