Ankita Adhikary

Babita Sarkar: মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতার স্কুলেই চাকরির নিয়োগপত্র পেলেন ববিতা, জেনে নিন বেতন কত

সোমবার নিয়োগের সুপারিশপত্র পেয়েছিলেন ববিতা। কলকাতার সল্টলেটে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরে স্বামীর সঙ্গে এসে সুপারিশপত্র নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা ও কোচবিহার শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২২ ১৬:০১
Share:

অঙ্কিতার স্কুলে এ বার শিক্ষকতা করবেন ববিতা

অঙ্কিতা অধিকারীর স্কুল ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে চাকরি পেলেন মামলাকারী ববিতা সরকার। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পেলেন তিনি। শিক্ষিকা হিসাবে ববিতার মাসিক বেতন হতে চলেছে ৪২ হাজার ৬০০ টাকা।

Advertisement

রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা বেআইনি ভাবে স্কুলে চাকরি পেয়েছেন, এই পর্যবেক্ষণ করে মামলাকারী তথা শিলিগুড়ির এসএসসি পরীক্ষার্থী ববিতাকে ১০ দিনের মধ্যে চাকরি দেওয়ার জন্য শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। তার পরেই সোমবার নিয়োগের সুপারিশপত্র হাতে পেয়েছিলেন ববিতা। কলকাতার সল্টলেটে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরে স্বামীর সঙ্গে এসে সুপারিশপত্র নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এর পর বৃহস্পতিবার চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে গেলেন ববিতা।

কিন্তু ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে কবে শিক্ষিকা হিসাবে যোগ দেবেন তিনি, তা এখনও জানা যায়নি। স্কুলের কাছেও তার কোনও খবর নেই বলে জানালেন প্রধান শিক্ষিকা রঞ্জনা রায় বসুনিয়া। তিনি বলেন, ‘‘অঙ্কিতার জায়গায় ববিতা যে এই স্কুলে জয়েন করতে চলেছে, তা জানি। তবে ববিতা কবে জয়েন করবে, সেই বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, ববিতা ২০১৬ সালে স্কুলশিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসেন। যার মেধাতালিকা প্রকাশ হয়েছিল ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর। সেই তালিকায় ববিতার নাম প্রথম ২০তে থাকলেও পরে তালিকাটি বাতিল করে দেয় এসএসসি। প্রকাশ হয় নতুন তালিকা। তাতে এক ঘর পিছিয়ে যায় ববিতার নাম। ববিতার থেকে ১৬ নম্বর কম পেয়েও মেধাতালিকার শীর্ষে ওঠে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতার নাম। ফলে ববিতার নাম চলে যায় ওয়েটিং লিস্টে। ঘটনাটি জানতে পেরে শুরু হয় ববিতার লড়াই। সেই বৃত্ত প্রায় সম্পূর্ণ হল বৃহস্পতিবার। সোমবার নিয়োগের সুপারিশপত্র নিয়ে ববিতা বলেছিলেন, ‘‘নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হল আজ। এসএসসি ভবনে গিয়ে সুপারিশপত্র পেয়েছি। আমি খুব খুশি। এর পর আমাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। তৃতীয় পর্যায়ে স্কুলে নিয়োগ পাওয়ার পরে আমার লড়াই শেষ হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন