Babul Supriyo

Babul Supriyo: সাংসদ থাকব, রাজনীতিতে নয়, নড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পর বললেন বাবুল

সোমবার রাতে বাবুল নিজেই গাড়ি চালিয়ে বিজেপি সভাপতি নড্ডার বাড়িতে পৌঁছন। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা দু’জনের বৈঠক হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২১ ২১:২৯
Share:

জে পি নড্ডা এবং বাবুল সুপ্রিয়। ফাইল চিত্র।

বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পর সাংসদ হিসেবে সাং‌বিধানিক দায়িত্ব পালন করার কথা জানালেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন, ‘‘রাজনীতি ছাড়ার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসিনি। তবে এখনই ইস্তফা দিচ্ছি না। বিকল্প আয় না থাকায় বাবুল সাংসদ হিসেবে তাঁর বেতন এবং ভাতা নেবেন বলেও জানিয়েছেন।

সোমবার রাতে বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা তাঁর বাড়িতে বাবুলের সঙ্গে বৈঠকে করেন। রাত ৮ নাগাদ বাবুল নিজেই গাড়ি চালিয়ে নড্ডার বাড়িতে পৌঁছন। বিজেপি সূত্রের খবর, বাবুলের মান ভাঙাতেই হয় বৈঠক। বৈঠকের পর অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করেন বাবুল। পাশাপাশি সাংসদ হিসেবে ইস্তফা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেন, ‘‘সাংসদ হিসেবে আমার সাধ্যমত আসানসোলের মানুষের সেবা করে যাব।’’

Advertisement

অমিত শাহ এবং নড্ডা তাঁকে ‘বুঝিয়েছেন’ বলেও জানান বাবুল। কিন্তু সেই সঙ্গেই রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে তিনি মনস্থির করে ফেলেছেন জানিয়ে বলেছেন, ‘‘যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি, তা থেকে সরে আসার প্রশ্ন ওঠে না।’’

শনিবার বাবুল প্রথমে রাজনীতি ছাড়ছেন ঘোষণা করে জানিয়েছিলেন অন্য কোনও দলেই তিনি যোগ দিচ্ছেন না। এর পরে তিনি কেন সাংসদ পদ ছাড়ছেন না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তৃণমূল। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও সংবাদমাধ্যমের কাছে জানতে চান, ‘‘উনি কি ইস্তফা দিয়েছেন, খোঁজ নিন।’’ এর পরে পরেই বাবুল নিজের ফেসবুক পোস্ট এডিট করে জানান, তিনি খুব তাড়াতাড়ি ইস্তফা দেবেন। মন্ত্রী ও সাংসদ হিসেবে পাওয়া দিল্লির বাড়িও ছেড়ে দেবেন।

Advertisement

শনিবার রাতেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নড্ডার ডাকে দলের সদর দফতরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বাবুল। সূত্রের খবর, তিনি নড্ডাকে দল সম্পর্কে নিজের ক্ষোভের কথা জানান। বিজেপি সূত্রের খবর, এরপর মন্ত্রিত্ব হারানো বাবুলের ক্ষোভ প্রশমনে রবিবার সক্রিয় হয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাঁর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন অমিত শাহ। নড্ডা বাবুলকে সোমবার আলোচনার জন্যও ডাকেন। সেই ডাকে সাড়া দেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষদের একাংশের মতে, বাবুল সাংসদ পদে ইস্তফা দিলে তাঁর কেন্দ্র আসানসোলে উপনির্বাচন হবে এবং তাতে বিজেপির জিতে আসা রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক অঙ্কে খুব সহজ নয়। সেই কারণেই বিজেপি নেতৃত্ব বাবুলকে সাংসদ হিসাবে ধরে রাখার চেষ্টা চালান। আর তাতে সফলতাও মিলেছে।

বাবুল সাংসদ পদে ইস্তফা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষে ফের তাঁর বিরুদ্ধে নাটক করার অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘পুরোটাই কাঁচা হাতের চিত্রনাট্য। কী ঘটতে চলেছে, তা আগে থেকেই স্পষ্ট ছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন