Babul Supriyo

গোমাংস ভক্ষণ বিতর্কে জোর করে আমায় টানা নিম্নরুচির পরিচয়, বলছেন বাবুল সুপ্রিয়

বাবুল আরও জানাচ্ছেন, বলিউডের একজন গায়ক হিসাবে তিনি যে মন্তব্য করতে পারেন, একজন রাজনীতিবিদ হয়ে তেমন মন্তব্য তিনি করতে পারেন না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:৫৪
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

গোমাংস খাওয়া নিয়ে অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত, পরিচালক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়দের সঙ্গে আইনজীবী তরুণ তেওয়ারির তরজা এখন তুঙ্গে। কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম দফতরে তরুণের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন দেবলীনা। অন্য দিকে, তরুণও আইনি পদক্ষেপ করেছেন। কিন্তু পুরো বিষয়টিতে জড়িয়ে পড়েছে বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র নাম।

দেবলীনার বক্তব্যের পর গোমাংস খাওয়া অপরাধ কি না, তা নিয়ে অন্যান্য অনেক বিষয়ের মতোই সোশ্যাল মিডিয়াতেও জোরদার চর্চা এবং মতা বিনিময় শুরু হয়েছে। সেই আলোচনায় বার বার একটি ভিডিয়োটি তুলে ধরা হচ্ছে। ওই ভিডিয়োয় বাবুলকে একটি টিভি সাক্ষাৎকারে বলতে শোনা যাচ্ছে, কলেজে পড়ার সময় তিনি গরুর মাংস খেয়েছেন।

Advertisement

গোমাংস ভক্ষণ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে তরুণের ক্ষোভের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে দেবলীনা আনন্দবাজার ডিজিটালকে বলেছিলেন, ‘‘বিজেপি-র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, গায়ক ও অভিনেতা বাবুল সুপ্রিয় এক ইন্টারভিউতে বলেছিলেন, তিনি কলেজ লাইফে বহু বার বিফ বা গরুর মাংস খেয়েছেন। তা নিয়ে কিন্তু কোনও প্রশ্ন করা হয়নি। বলা হয়নি যে, উনি কেন গোমাংস খেলেন? অথচ সেই বিজেপি-রই কর্মী এবং পেশায় আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি ওই বিষয়ে প্রায় একই কথা বলার জন্য শুধু হুমকিই দেননি। আইনি পদক্ষেপ করবেন বলেও জানিয়েছেন!’’

স্বভাবতই অনভিপ্রেত হলেও পুরো বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন বাবুলও। কিন্তু ওই বিষয়ে তাঁর বক্তব্য কী? শুক্রবার আনন্দবাজার ডিজিটাল তাঁকে প্রশ্ন করায় বাবুল বলেছেন, ‘‘১৯৯৩ সালে অমিতাভ বচ্চনের ওয়ার্ল্ড ট্যুর থেকে শুরু করে ২৭ বছর ধরে পৃথিবীর প্রচুর জায়গায় ঘুরেছি। অনেক কিছু দেখেছি। অনেক কিছু খেয়েছি। এখন আমি রাজনীতিবিদ বলে বিনা কারণে যে কোনও বিতর্কেই আমাকে টেনে আনা হচ্ছে। পুরনো জিনিস নিয়ে যারা ঘাঁটাঘাঁটি করছেন, এটা তাঁদেরই নিম্নরুচির পরিচয়।’’

Advertisement

বাবুল আরও জানাচ্ছেন, বলিউডের একজন গায়ক হিসাবে তিনি যে মন্তব্য করতে পারেন, একজন রাজনীতিবিদ হয়ে তেমন মন্তব্য তিনি করতে পারেন না। এ বিষয়ে তিনি যথেষ্ট সচেতন। বাবুলের বক্তব্য, ‘‘তাই অন্যদের কলহে আমাকে নিয়ে পুরনো কাসুন্দির চর্চা বন্ধ হোক।’’ প্রসঙ্গত, দেবলীনা-তরুণের সাম্প্রতিক বিতর্ক এবং আইনি লড়াইয়ের আবহে বিজেপি পরোক্ষে অভিনেত্রীকে হুঁশিয়ারিই দিয়ে রেখেছে। বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলেন, ‘‘ওঁরা মানুষের আবেগে আঘাত করছেন। এর পরে যদি ওঁরা জনরোষের শিকার হন, তা হলে কিন্তু তার দায় বিজেপি নিতে পারবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন