দুষ্টচক্রটি হরিয়ানার। কলকাতা ও শহরতলির ১১টি এটিএম লুঠে তারা যুক্ত। আলিম খান নামে সেই চক্রেরই এক অভিযুক্তের জামিনের আবেদন বৃহস্পতিবার খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অসীম রায় ও বিচারপতি অমিতাভ চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
পুলিশি সূত্রের খবর, ওই চক্রে কলকাতারও এক দুষ্কৃতী রয়েছে। দুষ্কৃতীরা গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত বিভিন্ন এটিএম থেকে কয়েক কোটি টাকা লুঠ করেছে। হাইকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায় জানান, নর্দার্ন অ্যাভিনিউয়ে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম ছাড়াও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ১১টি এটিএম থেকে ৩৪ লক্ষ টাকা লুঠে আলিম সরাসরি জড়িত। গ্যাস-কাটার দিয়ে এটিএম মেশিন কাটত সে।
পুলিশ জানায়, কালাম নামে এটিএম লুঠের এক পাণ্ডাকে গ্রেফতার করে আলিমের নাম জানা যায়। কালাম পুলিশকে জানায়, তেলঙ্গানায় দু’টি এটিএম লুঠ করেছে তারা। আলিমকে সেখানকার পুলিশ গ্রেফতার করে। আদালতের অনুমতি নিয়ে তাকে আনা হয় কলকাতায়।
আলিমের আইনজীবী শেখর বসু এ দিন আদালতে জানান, নর্দার্ন অ্যাভিনিউয়ে যাঁর সামনে এটিএম লুঠ হয়েছিল বলে পুলিশের দাবি, তিনি অভিযুক্তকে ঘটনার বেশ কয়েক মাস পরে জেলে গিয়ে কী করে শনাক্ত করলেন, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তাঁর মক্কেল ওই ঘটনায় জড়িত নন।
পিপি-র দাবি, নর্দার্ন অ্যাভিনিউয়ে লুঠ করার আগে কালাম ও আলিম একসঙ্গে হাওড়ার একটি হোটেলে ছিল। সেখানকার সিসিটিভি-তে তাদের দেখা গিয়েছে। ওই হোটেলের ম্যানেজারও তাদের শনাক্ত করেছেন।