ছাড়ছি বলেও রয়ে গেলেন তৃণমূল নেতা

ফেসবুকে শুক্রবার রাতে বৈশ্বানর লিখেছিলেন, ‘‘এই নোংরা রাজনীতিতে আমি আর নেই। এখানে আমি বেমানান। আমার কাজ আর করতে পারছি না। বিদায়  নিচ্ছি।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৮ ০৩:৪৫
Share:

—ফাইল চিত্র।

তৃণমূলের রাজনীতিতে তিনি ‘বেমানান’ ঘোষণা করে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন শুক্রবার রাতে। ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই আবার সবকিছু মেনে নিয়ে তৃণমূলেই থেকে যাওয়ার কথা জানালেন দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

ফেসবুকে শুক্রবার রাতে বৈশ্বানর লিখেছিলেন, ‘‘এই নোংরা রাজনীতিতে আমি আর নেই। এখানে আমি বেমানান। আমার কাজ আর করতে পারছি না। বিদায় নিচ্ছি।’’ কিন্তু শনিবার সকালেই সেই লেখা মুছে ফেলেন তিনি। যাননি এ দিন কলকাতা পুরসভার বাজেট অধিবেশনেও। ফেসবুক পোস্ট মুছে ফেলার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘‘মানসিক উত্তেজনায় ওই সব লিখে ফেলেছি। আমি দলেই থাকছি। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আমার অগাধ আস্থা। আমি ওই পোস্ট প্রত্যাহার করছি।’’

কেন তিনি ওই সব কথা লিখেছিলেন? কলকাতা পুরসভার ৯০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ৮ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান বৈশ্বানরের জবাব ‘‘রাজনীতি করতে আমার ভাল লাগছে না। খুব অপমানিত লাগছে।’’ দলের অনেকে অবশ্য মনে করছেন, শুক্রবার দুপুরে নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের বৈঠকে রাজ্যসভার প্রার্থী-তালিকা দেখেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। কাউকে কাউকে বলতে শোনা যায়, যাঁরা টিকিট পেয়েছেন, তাঁদের চেয়ে বৈশ্বানরের যোগ্যতা কোনও অংশে কম নয়। যদিও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বৈশ্বানরের ওই ক্ষোভ উগরে দেওয়ার ঘটনা ভালভাবে নেননি। দলীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে আপাতত তাঁকে শান্ত করা হয়েছে। সূত্রের খবর, কয়েক দিনের মধ্যেই কলকাতা পুরসভায় কিছু পদের রদবদল হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বৈশ্বানরকে গুরুত্বপূর্ণ কোনও পদের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে তৃণমূল সূত্রের ইঙ্গিত।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন