Lashkar

প্রধানমন্ত্রীকে খুনের ছক, মহারাষ্ট্রের লস্কর জঙ্গিকে ফাঁসির সাজা দিল বনগাঁ আদালত

সিআইডি সূত্রে খবর, ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে জঙ্গি সন্দেহে চার জনকে পাকড়াও করে বিএসএফ। পরে তাঁকে বনগাঁ থানার পুলিশ গ্রেফতার করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৯:৪৩
Share:

বনগাঁ আদালতে শেখ আব্দুল নঈম।—নিজস্ব চিত্র।

লস্কর-ই-তৈবাজঙ্গি নেতা শেখ আব্দুল নঈম ওরফে সামীরকে দেশদ্রোহিতার মামলায় ফাঁসির সাজা ঘোষণা করলেন বিচারক। শুক্রবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে রায় দানের আগে নঈম যদিও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে। মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক-১ বিচারক বিনয়কুমার পাঠক তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন।

Advertisement

শনিবার সরকারি আইনজীবী সমীর দাস বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র, দেশদ্রোহিতা, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, যুদ্ধ ঘোষণা, অস্ত্রমজুত-সহ ১৫টি মামলায় সামীরকে বিচারক দোষী সাব্যস্ত করেছেন। এ দিন ফাঁসির সাজা ঘোষণা করলেন তিনি।” এই মামলায় আগেই তিন জনের ফাঁসির রায় ঘোষণা করেছিলেন বিচারক।

সিআইডি সূত্রে খবর, ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে জঙ্গি সন্দেহে চার জনকে পাকড়াও করে বিএসএফ। পরে তাঁকে বনগাঁ থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। এর পর মামলার তদন্তভার নেয় সিআইডি। শেখ নঈম ছাড়াও গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ ইউনুস, শেখ আবদুল্লাহ ও মুজাফ্ফর আহমেদ রাঠৌর। আবদুল্লাহ ও ইউনুসের বাড়ি পাকিস্তানে। রাঠৌর কাশ্মীরের বাসিন্দা। সামীরের বাড়ি মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ। তাদের কাছ থেকে প্রচুর নথিপত্র উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। ২০১২ সালের জুলাইয়ে বনগাঁ আদালতে মামলার শুনানি শুরু হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘রাফাল রায়ে সিএজি নিয়ে ভুল তথ্য শুধরে নিন’, সু্প্রিম কোর্টকে অনুরোধ কেন্দ্রের​

আরও পড়ুন: টাকা ফেরতের থেকে আমাকে ধরতেই বেশি উৎসাহ ভারতের: বিজয় মাল্য​

আবদুল্লাহ ও ইউনুস পাকিস্তানে কম্যান্ডো প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। তারা রাওয়ালপিণ্ডি থেকে বিমানে ঢাকা আসে। সেখানে মতিঝিল এলাকায় একটি হোটেলে ওঠে। সামীর ও রাঠৌরও আসে সেখানে। সকলে চোরাপথে বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে বনগাঁয় ঢুকে পড়ে।

২০১৭ সালে বনগাঁ আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক-১ আদালতের বিচারক সামীর ছাড়া বাকি তিন জনকে ফাঁসির নির্দেশ দেন। মুম্বইয়ে ট্রেনে বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ হেফাজতে নেয় সামীরকে। এ রাজ্য থেকে নিয়ে ট্রেনে যাওয়ার সময় পুলিশি হেফাজত থেকে শেখ নঈম পালিয়ে যায়। ছত্তীসগঢ়ের কাছে চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালায় সে। পরে অবশ্য এনআইএ সামীরকে গ্রেফতার করে। দু’মাস আগে বনগাঁ আদালতে শেখ নঈমের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি শুরু হয়। এ দিন বিচারক ওই মামলায় তাঁকে ফাঁসির সাজা শোনালেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন