প্রতিদিন রাস্তাটিতে গাড়ি চলে তেরো হাজারেরও বেশি। অথচ চল্লিশ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি চওড়ায় মাত্র সাড়ে পাঁচ মিটার! পাশাপাশি দু’টি গাড়ির যাতায়াত করাই কঠিন। ফলে যানজট রোজকার অসুখ। অবশেষে এই বারাসত-বসিরহাট সড়কটি ১০ মিটার চওড়া করার কাজে হাত দিচ্ছে রাজ্য। মে মাসেই কাজ শুরু হওয়ার কথা। প্রথম ধাপে ২০ কিলোমিটার রাস্তা চওড়া হবে। সরকারের দাবি, রাস্তার দু’ধারে যে-সব দখলদার ছিল, তাদের হটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, সীমান্তবর্তী জেলা উত্তর ২৪ পরগনায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য সড়ক রয়েছে। বারাসত-বসিরহাট, বসিরহাট-হাসনাবাদ ও হাসনাবাদ-হিঙ্গলগঞ্জ। বসিরহাট থেকে হাসনাবাদের সড়কটি ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। ওই রাস্তাটিও সাড়ে পাঁচ মিটার চওড়া। ওই সড়কেও অজস্র গাড়ি যাতায়াত করে। ওই রাস্তাটিও যে চওড়া করা জরুরি, সরকার উপলব্ধি করেছে। হাসনাবাদ-হিঙ্গলগঞ্জ সড়কের দৈর্ঘ্য ১৬ কিলোমিটার। প্রত্যন্ত এলাকার ওই রাস্তায় অবশ্য গাড়ি চলাচল বা যানজটের সমস্যা তেমন নেই।
পূর্তকর্তারা জানান, গাড়ির চাপ বেশি বারাসত-বসিরহাট সড়কেই। তাই প্রথমে ওই রাস্তা চওড়া করার কাজেই হাত দেওয়া হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ের কাজের জন্য বরাদ্দ ৮৭ কোটি টাকা। ওখানে সড়ক সম্প্রসারণ শুরু করার আগে বিদ্যুতের খুঁটি, টেলিফোন ও জলের লাইন সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাস্তার দু’পাশের অনেক দখলদারকেও। রাস্তা চওড়া করার জন্য কোনও বাড়তি জমি কিনতে বা অধিগ্রহণ করতে হবে না বলে জানাচ্ছেন এক পূর্তকর্তা। রাস্তার দু’ধারে পূর্ত দফতরের ফাঁকা জমি রয়েছে। কাজে লাগানো হবে সেগুলি।