—প্রতীকী ছবি।
সরানো হয়েছে ব্লক সভাপতিকে। তার প্রতিবাদে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান-সহ ১৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য ইস্তফা দিলেন। এই ঘটনায় বেজায় অস্বস্তিতে পড়ার কথা শাসক শিবিরের। যদিও একে ‘নাটক’ কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায়কে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। এর পরেই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬ জন সদস্য ও পঞ্চায়েত সমিতির কয়েক জন দলের জেলা সভাপতি তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। ইস্তফার পর পঞ্চায়েত প্রধান সীতারাম রুইদাস বলেন, ‘‘মাথার উপর সুজিত মুখোপাধ্যায় ছিলেন। তাঁকে পুনর্বহাল করার দাবিতে ইস্তফা দিলাম।’’ উপপ্রধান মাধব দে-ও বলেন, ‘‘দলের সভাপতিকে বলেছি, সামনে লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফল হবে সুজিত মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিলে। তাঁকে শীঘ্র ব্লক সভাপতি পদে না ফেরানো হলে বড় আন্দোলনে নামব।’’
সুজিত বলেন, ‘‘এই দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের ছ’টি অঞ্চলের মানুষ জানতে চান, কোনও কারণ ছাড়া কেন আমাকে সরানো হল। জেলা সভাপতির কাছে এই উত্তর চান মানুষ।’’ পাল্টা নরেন বলেন ‘দলের সিদ্ধান্ত সবাইকে মেনে নিতে হবে।’’
এই নিয়ে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘‘সুজিত একটু বেশিই জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন জেলা সভাপতি নরেনের থেকে। সেই জন্য তাঁকে ছেঁটে ফেলা হল।’’