চলছে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
চুক্তি নবীকরণ না করা-সহ নানা বৈষম্যের অভিযোগে অবস্থান-বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জন শিক্ষাকর্মী। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও সাড়া না পেয়ে সোমবার থেকে তাঁরা অনশন কর্মসূচি নিয়েছেন বলে জানান ওই কর্মীরা। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ দিনও কিছু বলতে চাননি।
‘তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতি’র ব্যানারে চলছে এই কর্মসূচি। কর্মী গণেশ রুইদাস অভিযোগ করেন, ১ অগস্ট তাঁদের বার্ষিক চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, এখনও চুক্তির মেয়াদ নবীকরণ করানো হয়নি। আবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের কাজ থেকে বসিয়েও দেননি। গণেশবাবু বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতি সম্পর্কে রেজিস্ট্রারের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের কে বেতন দেবে, সেই প্রসঙ্গে কিছু জানাচ্ছেন না। ফলে, অনিশ্চয়তায় রয়েছি।’’ ওই কর্মীরা জানান, প্রায় ২২ দিন এ ভাবে কাজ করার পরেও কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও সদুত্তর না পেয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন। এরই মধ্যে সোমবার এক কর্মীকে কলকাতার কার্যালয়ে বদলি করা হয়। সে খবর পেয়েই তাঁরা অনশনে বসেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনে জনা পঞ্চাশ কর্মী অবস্থানে সামিল হয়েছেন। নৈতিক সমর্থন জানিয়ে এ দিন আন্দোলনে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনা কুড়ি শিক্ষক। শিক্ষকদের পক্ষে ইংরেজি বিভাগের প্রধান সজল ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করে নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।’’ কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের আসানসোল ব্লক সভাপতি উৎপল সিংহ। তিনি বলেন, ‘‘সাধারণ কর্মীদের সঙ্গে বঞ্চনা রুখতে আমরা আন্দোলনে সামিল হয়েছি।’’
এ দিন কলকাতা থেকে আসেন সংগঠনের রাজ্য সহ-সভাপতি সীতারাম বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, চুক্তির পুনর্নবীকরণের সঙ্গে কর্মীদের অন্যায় ভাবে বদলি রদ, ন্যূনতম মজুরি, ইএসআই এবং ভবিষ্যনিধির সুবিধা ও সচিত্র পরিচয়পত্র দিতে হবে। তাঁর কথায়, ‘‘নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা এ সব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমরা শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছি।’’ তিনি এ দিন রেজিস্ট্রারের সঙ্গে দেখা করে অবিলম্বে সমস্যা মেটানোর দাবি জানান। গোটা বিষয়টি নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি রেজিস্ট্রার সীতাংশুকুমার গুহ। তিনি শুধু বলেন, ‘‘দাবিগুলির সঙ্গে সহমত নই।’’