চিড়েচ্যাপ্টা: রাজবাঁধে জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই বাস। —নিজস্ব চিত্র।
দুর্ঘটনা ঘটছে একের পরে এক। কিন্তু বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো থামছে না ২ নম্বর জাতীয় সড়কে। মঙ্গলবার পশ্চিম বর্ধমানের রাজবাঁধে বাস ও ট্রাকের ধাক্কায় জখম হলেন ২৫ জন যাত্রী। বাসটি বেপরোয়া গতিতে চলাতেই এই দুর্ঘটনা, অভিযোগ যাত্রীদের।
এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ নদিয়ার কৃষ্ণনগর থেকে দুর্গাপুরের বেনাচিতি যাচ্ছিল একটি বাস। রাজবাঁধের কাছে সার্ভিস রোড ধরে এসে জাতীয় সড়কে উঠছিল একটি ট্রাক। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সামনে ট্রাকটি থাকলেও বাসের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি চালক। ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মেরে বাসটি পাশের নয়ানজুলিতে গিয়ে পড়ে।
পুলিশ ও আশপাশের বাসিন্দারা বাসের যাত্রীদের উদ্ধার করে রাজবাঁধের একটি বেসরকারি হাসপাতাল পাঠান। তিন জন সেখানে চিকিৎসাধীন। এক জনকে দুর্গাপুরের ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাসের যাত্রী অজিত ভট্টাচার্য, সন্তু সরকারদের ক্ষোভ, ‘‘আমরা বারবার চালককে গতি কমানোর অনুরোধ করছিলাম। কিন্তু তিনি কথা কানে তোলেননি।’’
গত কয়েক মাসে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের নানা জায়গায় বারবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছে অনেকের। কখনও লেন ভেঙে যাতায়াত, আবার কখনও বেপরোয়া গতি বিপদ ডেকে আনছে বলে অভিযোগ। দিনকয়েক আগেই পানাগ়ড় বাজারে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে ধাক্কা দেওয়ায় কয়েকজন জখম হন। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের কর্তারা জানান, জাতীয় সড়কে নজরদারি চলছে। তঁদের আশ্বাস, জাতীয় সড়কে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। এ দিন দুর্ঘটনার পরে পালিয়ে যান বাসের চালক ও খালাসি। তাঁদের খোঁজ চলছে।