মারামারিতে জখম পাঁচ

পাড়ার পুজোয় জোরে গান চালানো নিয়ে বচসা-মারামারিতে আহত হলেন পাঁচ জন। বৃহস্পতিবার রাতে মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রাম অঞ্চলের পলাশি গ্রামের ঘটনা। যদিও এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, দু’পক্ষের বিবাদের কারণ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৫৬
Share:

পাড়ার পুজোয় জোরে গান চালানো নিয়ে বচসা-মারামারিতে আহত হলেন পাঁচ জন। বৃহস্পতিবার রাতে মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রাম অঞ্চলের পলাশি গ্রামের ঘটনা। যদিও এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, দু’পক্ষের বিবাদের কারণ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার থেকে মনসা পুজো চলছে ওই গ্রামে। চলছে সাউন্ড বক্স, মাইক লাগিয়ে নাচগানও। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তপন মণ্ডল নামে স্থানীয় এক যুবক এসে ১৫ই অগস্ট সাঁওতা বাসস্ট্যান্ডে বিধায়কের সভায় যাওয়ার জন্য শুভঙ্কর মণ্ডল নামে এক যুবককে গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ। পরে ইট, লাঠি দিয়ে মারধরো করা হয় তাঁকে। চোখে গুরুতর আঘাত নিয়ে শুক্রবার সকালে শুভঙ্করের বাবা দেবকুমার মণ্ডল তাঁকে কাটোয়ায় চিকিৎসা করাতে নিয়ে যায়ন। অভিযোগ, পথে আবারও তপন তাঁদের পথ আটকায়। বাবা-ছেলে দু’জনকেই মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে যোগাদ্যা মণ্ডল, পবিত্র মাঝি ও সোমনাথ মণ্ডল নামে আরও তিন জন এগিয়ে এলে রাম দা দিয়ে তাঁদের মাথায় কোপ মারা হয়। হাসপাতালে বসে যোগাদ্যা মণ্ডল, সোমনাথ মণ্ডলেরা বলেন, ‘‘তপন এলাকায় কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসাবেই পরিচিত। ও অচলের (অপূর্ব চৌধুরী) অনুগামী। আমরা বিধায়কের সভায় গিয়েছিলাম বলেই আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে।’’ ঘটনাটি মৌখিক ভাবে থানায় জানানো হয়েছে বলেও তাঁর দাবি। যদিও শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। অভিযোগ অস্বীকার করে মঙ্গলকোট ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী বলেন, ‘‘ঘটনায় দলের কেউ যুক্ত নয়।’’ ঘটনাটি তদন্তসাপেক্ষ বলে জানান বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন