অক্ষয়কে অনৈতিক বলে তোপ প্রযোজকের। ছবি: সংগৃহীত।
শুটিং শুরু হওয়ার কয়েক দিন আগে ‘দৃশ্যম ৩’ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন অক্ষয় খন্না। অভিনেতার এই আচরণকে অপেশাদার ও অনৈতিক বলে দাবি করলেন ছবির প্রযোজক কুমার মঙ্গত পাঠক। ঠিক কী ঘটেছিল, জানালেন তিনি।
২১ কোটি টাকা পারিশ্রমিক এবং পরচুলার দাবি করেছিলেন অক্ষয় খন্না। এখান থেকেই নাকি বিতর্কের সূত্রপাত। ‘ধুরন্ধর’ ছবিতে তাঁর জয়জয়কারের পরেই নাকি ‘দৃশ্যম ৩’ থেকে বেরিয়ে যান তিনি। এমন খবর ছড়ায়। তবে প্রযোজক জানান, ছবি সফল হওয়ার আগেই তিনি ‘দৃশ্যম ৩’ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।তবে অক্ষয়ের অনুমান ছিল, ‘ধুরন্ধর’ বক্সঅফিস সফল হবেই। কুমার মঙ্গত বলেছেন, “অক্ষয় চুক্তিতে সই করেছিলেন। তার পরে ওর পোশাকও ঠিক হয়ে গিয়েছিল এবং সেটার টাকাও পোশাকশিল্পীকে দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু তার ১২ দিন আগে ওঁর থেকে মেসেজ পাই, উনি ছবিটি করছেন না। তবে ভবিষ্যতে আবার একসঙ্গে কাজ করবেন।”
এর পরে নাকি অক্ষয়কে বহু বার ফোন করার চেষ্টা করেছেন প্রযোজক। কিন্তু অভিনেতা একবারও ফোন ধরেননি। মঙ্গতের কথায়, “ওঁর এমন হঠাৎ চুপ করে যাওয়ার স্বভাব আছে। আমি সেটা জানি। কিন্তু এই আচরণ খুবই অপেশাদার। ফোন বা মেসেজের সাড়া কেন দিচ্ছেন না!”
প্রথমে পরচুলার অজুহাত দিয়ে নাকি ছবি থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ‘দৃশ্যম ২’ ছবিতে পরচুলা ছিল না। তাই এই ভাগেও হঠাৎ টাকে চুল গজানো সম্ভব নয়। প্রযোজকের স্পষ্ট বক্তব্য, “মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যে একজনের মাথায় চুল গজিয়ে গিয়েছে। এটা আমি কী ভাবে দেখাব?” কেন ‘দৃশ্যম ৩’ থেকে বেরিয়ে যেতে চাইছেন, তা নিয়ে সরাসরি আলোচনাই নাকি করেননি অভিনেতা। প্রযোজক প্রশ্ন তুলেছেন, “ভদ্র ভাবে বেরোতে পারতেন ছবি থেকে। কোনও সাড়া দিচ্ছেন না, এটা কেমন কথা? আমরা পরস্পরকে ১৫ বছর ধরে চিনি। প্রথমে প্রস্তাবিত পারিশ্রমিকে কেন রাজি হলেন তা হলে?” একটা সময়ে নাকি হাতে কাজ ছিল না বলে টানা চার বছর বাড়িতে বসেছিলেন অক্ষয়। তাই প্রযোজকের প্রশ্ন, “ছবি সফল হলে আপনি এই ভাবে বদলে যান? ৪০ বছর ধরে আমি এই জগতে রয়েছি। সাফল্য ও ব্যর্থতা খুব সাধারণ বিষয়। কিন্তু এই আচরণ অনৈতিক ও ক্ষমার অযোগ্য।” এই বিষয়ে এখনও নীরব অক্ষয় নিজে।