ধ্রুব রাঠীর নিশানায় জাহ্নবী। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউড তারকারা এ বার ধ্রুব রাঠীর নিশানায়। ‘ধুরন্ধর’ ছবির ঝলক মুক্তির সময় থেকেই সমালোচনা করছেন এই নেটপ্রভাবী। পরিচালক আদিত্য ধরকে একহাত নিয়েছেন তিনি। কিছু দিন আগেই দীপিকা পাড়ুকোন-সহ বিপাশা বসু, কাজল, প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকেও খোঁচা দিয়েছেন তিনি। ধ্রুবের দাবি, এঁরা সবাই ‘নকল সুন্দরী’। এই ভিডিয়োর থাম্ব-এ ধ্রুব ব্যবহার করেছিলেন জাহ্নবী কপূরের একটি ছবি। শ্রীদেবী-কন্যার আগের ও বর্তমানের দুটি ছবি রয়েছে সেই থাম্ব-এ। সেখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত।
কিছু দিন আগেই বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির সমালোচনা করে একটি পোস্ট করেছিলেন জাহ্নবী। দীপু দাসের হত্যার নিন্দা করেছিলেন তিনি। নেটাগরিকের দাবি, জাহ্নবী এই বিষয় নিয়ে কথা বলার পরেই তাঁকে কটাক্ষ করছেন ধ্রুব রাঠী। এই দাবির পাল্টা জবাবও দিয়েছেন নেটপ্রভাবী।
সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে। সেই পোস্টের বক্তব্য, “বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জন্য সরব হওয়ার জন্য জাহ্নবীর সৌন্দর্য নিয়ে খোঁচা দিচ্ছেন ধ্রুব রাঠী।” এর পরেই ধ্রুব রাঠী প্রশ্ন তোলেন, মানুষ সমাজমাধ্যমে যা-ই দেখেন, তাই কী ভাবে বিশ্বাস করে যান? তিনি তাঁর ভিডিয়োয় বলেন, “ঈশ্বর তো তোমাকে মস্তিষ্ক দিয়েছেন। সেটার ব্যবহার করছ না কেন? বিজেপি-র আইটি সেল থেকে যা পোস্ট করবে, তোমরা সেটাই অন্ধের মতো বিশ্বাস করবে?”
জাহ্নবী যে দিন বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেছিলেন সমাজমাধ্যমে, সেই দিনই আধ ঘণ্টার ভিডিয়োটি পোস্ট করেছিলেন তিনি। এত দ্রুত আধ ঘণ্টার ভিডিয়ো কি বানানো সম্ভব? প্রশ্ন তুলেছেন ধ্রুব। তাঁর দাবি, জাহ্নবী পোস্ট করার আগেই তাঁর ভিডিয়ো তৈরি ছিল। দ্বিতীয়ত, তিনি বলেছেন, “আমি নিজেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভিডিয়ো তৈরি করেছি। তাই জাহ্নবীকে এই কারণে কেন আমি সমালোচনা করব? আমি তোমাদের মতো ঘুরিয়ে সমালোচনা করি না। আমি যা বলি, মুখের উপর বলি। না আমি তোমার বাবাকে ভয় পাই, না কোনও বলিউড তারকাকে ভয় পাই।” এই বিতর্কে অবশ্য জাহ্নবী এখনও নীরব।