TMC

গোষ্ঠী-সংঘর্ষে জখম ৬

স্থানীয় সূত্রের দাবি, এলাকায় ক্ষমতা দখল নিয়ে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যেই এই গোলমাল হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২১ ০৫:৩১
Share:

প্রতীকী ছবি।

দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে অশান্ত হয়ে উঠল পূর্ব বর্ধমানের গলসি ১ ব্লকের উচ্চগ্রাম এলাকা। শুক্রবার রাতে লাঠি, রড নিয়ে মারপিট হয় দু’পক্ষের। দু’পক্ষের ছ’জন জখম হন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রের দাবি, এলাকায় ক্ষমতা দখল নিয়ে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যেই এই গোলমাল হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্ব জানান, বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

Advertisement

তৃণমূল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকেই দলের অঞ্চল সভাপতি সরোজ চক্রবর্তী ও তাঁর অনুগামী হিসেবে পরিচিত শেখ আক্কেল আলির সঙ্গে স্থানীয় নেতা শেখ আব্দুল গফফর, শেখ আমির আলিদের গোষ্ঠীর মধ্যে টানাপড়েন চলছে। মাস দশেক আগে সরোজ ও আক্কেলদের বিরুদ্ধে ‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তার পিছনে গফফরদের ষড়যন্ত্র ছিল বলে দাবি করেন সরোজেরা। তখন থেকে দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে, দাবি তৃণমূল সূত্রের। বিধানসভা ভোটের সময়ে দুই গোষ্ঠী কাজ করলেও, ফল বেরনোর পরে ফের বিবাদ শুরু হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ দু’পক্ষ বচসায় জড়িয়ে পড়ে। তা থেকে হাতাহাতি বেধে যায়। শেষে লাঠি, রড নিয়ে মারামারি শুরু হয়। ইট, পাটকেলও ছোড়া হয়। দু’জনের মাথা ফেটে যায়। লাঠি ও রডের ঘায়ে কয়েকজন জখম হন। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়। আহতদের মধ্যে লক্ষ্মণ বাগদি নামে এক জনের আঘাত গুরুতর হওয়ায়, তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শনিবার বর্ধমান আদালত ধৃতদের মধ্যে চার জনকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। তিন জনকে আজ, রবিবার আদালতে তোলার নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

সরোজবাবুর অভিযোগ, ‘‘আমি দীর্ঘদিন ধরে এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ করছি। এলাকার আমার সংগঠন বেশি শক্তিশালী। তাই রাজনৈতিক ভাবে না পেরে মাঝেমধ্যেই আমার বাড়িতে এসে হামলা করা হচ্ছে। গফফরদের নেতৃত্বে কয়েকজন দুষ্কৃতী রাতে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। বাধা দিতে গেলে, আমাদের মারধর করা হয়।’’ অভিযোগ উড়িয়ে গফফরের পাল্টা অভিযোগ, “সরোজেরা ভোটের আগে ভিতরে-ভিতরে বিজেপি করছিল। বিজেপি হেরে যাওয়ায় ওরা আবার তৃণমূলে ফিরছে। তা আমাদের কর্মীরা কেউ মানতে পারছেন না। সে রাগে সরোজের লোকজন আমাদের ক্লাবে হামলা চালায়, কয়েকজনকে
মারধর করে।’’

তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি তথা গলসির নেতা জাকির হোসেন বলেন, ‘‘ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দু’পক্ষকে নিয়ে বসে মিটিয়ে ফেলা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement