চা খাওয়ানোর নাম করে ডেকে ৭০ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগ

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওই দিনই বৃদ্ধার অস্ত্রোপচার হয়েছে। ডাক্তারি রিপোর্ট পাওয়ার পরে রাতে বর্ধমান থানা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ধর্ষণের মামলা রুজু করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৩৭
Share:

—প্রতীকী ছবি।

চা খাওয়ানোর নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বর্ধমান শহরে। শুক্রবার ভোরে বছর সত্তরের ওই বৃদ্ধাকে বর্ধমান স্টেশন লাগোয়া একটি মিষ্টির দোকানের সামনে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় কয়েকজন উদ্ধার করেন। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওই দিনই বৃদ্ধার অস্ত্রোপচার হয়েছে। ডাক্তারি রিপোর্ট পাওয়ার পরে রাতে বর্ধমান থানা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ধর্ষণের মামলা রুজু করেছে। তবে কোথায় ও কখন ঘটনাটি ঘটেছে, তা বিশদে জানাতে পারেননি অভিযোগকারী তথা বর্ধমানের আইসি তুষারকান্তি কর। ঘটনার নিন্দা করে শনিবার সকালে বর্ধমান স্টেশনে পোস্টার সাঁটান কয়েকজন ছাত্রছাত্রী।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বর্ধমান সদর) ‌প্রিয়ব্রত রায় বলেন, ‘‘চা খাওয়ানোর নাম করে ওই বৃদ্ধাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এখনও তাঁর সঙ্গে পুলিশ সরাসরি কথা বলেনি। তিনি সুস্থ হয়ে ওঠার পরে কথা বলা হবে। তখন আরও তথ্য হাতে এলে অভিযুক্তের খোঁজ পাওয়া সম্ভব হবে।’’ তিনি জানান, মেডিক্যাল কলেজের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই এফআইআর করা জরুরি মনে হওয়ায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে। হাসপাতালের সুপার উৎপল দাঁ বলেন, ‘‘ডাক্তারি পরীক্ষায় যৌন নির্যাতনের চিহ্ন স্পষ্ট। অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। দুই ইউনিট রক্ত দিতে হয়েছে। তবে বৃদ্ধার অবস্থা এখন স্থিতিশীল।’’

Advertisement

পুলিশ জেনেছে, বৃদ্ধার বাড়ি হুগলিরর পাণ্ডুয়া এলাকায়। তিনি ট্রেনে ভিক্ষে করেন। বৃহস্পতিবার রাতে ভিক্ষে করার পরে বর্ধমান স্টেশনের বাইরে রাত কাটান। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শনিবার ওই বৃদ্ধা অভিযোগ করেন, ‘‘স্টেশনের বাইরে একটি মিষ্টির দোকানের সিঁড়িতে শুয়েছিলাম। ভোরে এক জন লোক এসে চা খাওয়াবে বলে আমাকে বনের ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানেই নির্যাতন করে। রক্তাক্ত অবস্থায় কিছুক্ষণ পড়েছিলাম। পরে যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে কোনও রকমে উঠে আসি।’’ রেল পুলিশ অবশ্য তাদের এলাকায় এ রকম কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে মানতে চায়নি।

স্থানীয় সূত্রের দাবি, মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে প্রায় ঘণ্টাখানেক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন বৃদ্ধা। পরে কয়েকজন তাঁকে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসা শুরু হয়। বৃদ্ধা বলেন, ‘‘বিশ্বাস করে গিয়ে এ ভাবে নির্যাতিত হতে হবে, বুঝতে পারিনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন