বাস শেডে চলছে সেলুন, রোদে দাঁড়িয়ে যাত্রী

রোদ-জলে বাড়ছে সমস্যা। যাত্রীদের অভিযোগ, বহু বার বিষয়টি নিয়ে আসানসোল পুরসভার কাছে দরবার করেও লাভ হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৮ ০৭:০০
Share:

রমরমিয়ে চলছে সেলুন। কুলটির সাতাইশায়। নিজস্ব চিত্র

স্কুলে কোথাও গজিয়ে উঠেছে সেলুন। কোথাও বা রমরমিয়ে চলছে তেলেভাজা, চা-সিগারেটের দোকান। এ ভাবেই জবরদখল হয়ে গিয়েছে আসানসোল শিল্পাঞ্চলের একাধিক বাস শেড। এই পরিস্থিতিতে যাত্রীরা দাঁড়াতে পারছেন না শেডের নীচে। রোদ-জলে বাড়ছে সমস্যা। যাত্রীদের অভিযোগ, বহু বার বিষয়টি নিয়ে আসানসোল পুরসভার কাছে দরবার করেও লাভ হয়নি।

Advertisement

নিত্যযাত্রীদের সুবিধার জন্য আসানসোল থেকে বরাকর পর্যন্ত জিটি রোডের দু’প্রান্তে এক সময়ে শেড বানিয়েছিল পুরসভা। কিন্তু সেগুলির বেশির ভাগই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জবরদখল হয়ে গিয়েছে। যেমন, আসানসোলের অত্যন্ত ব্যস্ত এলাকা রাহালেন। সেখানে গিয়ে দেখা গেল, একমাত্র বাস শেডের দখল নিয়েছেন রিকশা চালকেরা। কাছেই সার বেঁধে দাঁড়িয়ে রিকশা। সাধারণ যাত্রীর সেখানে যেন প্রবেশ নিষেধ। কেন এমনটা? রিকশা চালকদের সটান জবাব, ‘‘এ ছাড়া আর তো জায়গা নেই।’’

আসানসোলের সাতাশা এলাকা। সেখানে দেখা গেল, শেটের দখল নিয়ে রমরমিয়ে চলছে সেলুন। এখানে সেলুন তৈরির বিষয়ে সেলুন মালিক প্রমোদ ঠাকুরের ব্যাখ্যা, ‘‘এখানে তো কেউ দাঁড়ান না।’’ যদিও দেখা গেল, যাত্রীরা বাস শেড ফাঁকা না পেয়ে রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন। আসানসোলের ধেমোমোন, কুলটির রানিতলা, কলেজ রোড, নিয়ামতপুর এলাকায় দেখা গেল, বাস শেডের তলায় চা, তেলেভাজা, পান-বিড়ির দোকান ফেঁদে বসেছেন এক দল জবরদখলকারী। আসানসোলের গোধূলি রোড, কুলটির থানা মোড় এলাকার একটি বাস শেডের তলায় আবার এক দল ভবঘুরে সংসার পেতে বসেছেন।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে যাত্রীরা মাথার উপরে ছাদ যেমন পাচ্ছেন না, তেমনই নির্দিষ্ট স্টপেজও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। যেখানে সেখানে দাঁড়ানো যাত্রীদের বাসে তোলা-নামানো করছেন পরিবহণ কর্মীরা। এর জেরে ট্র্যাফিক আইন যেমন ভাঙছে, তেমনই বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও। যাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই এমনটা চলছে। সব দেখেও গা করে না পুরসভা।

তবে পুরসভার দাবি, প্রায়ই অভিযান হয়। অভিযান হলে জবরদখল ওঠে। কিন্তু নজরদারিতে অভাব থাকায় ফের শেড দখল হয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে পুরসভার চিফ ইঞ্জিনিয়ার সুকোমল মণ্ডল বলেন, ‘‘শহর জুড়ে একাধিক আধুনিক বাস শেড তৈরির কাজ শুরু চলছে। মহিলাদের জন্য কয়েকটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শেডও তৈরি করা হয়েছে। মাস খানেকের মধ্যেই শহরে বাস শেডের সমস্যা মিটে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন