Statue

প্রাচীন দেবী মূর্তি নিয়ে ‘আশঙ্কা’য় দাঁইহাটের ঘোষ পরিবার, বিজ্ঞান মঞ্চ বলছে, সংস্কার

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ মার্চ পুকুর কাটানোর সময় সেখান থেকে উদ্ধার হয় একটি সাড়ে ৪ ফুট উচ্চতার প্রাচীন শিলামূর্তি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২১ ২৩:৪৫
Share:

পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া সেই মূর্তি। নিজস্ব চিত্র।

বাড়িতে প্রাচীন মূর্তি রেখে পুজো শুরু করার পর থেকেই ঘটছে একের পর এক অঘটন। এমনই আজগুবি দাবি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার বেড়াগ্রামের ঘোষ পরিবারের সদস্যদের। তাই প্রশাসনের হাতে শতাব্দী প্রাচীন ওই মূর্তি তুলে দিতে চাইছেন তাঁরা।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ মার্চ পুকুর কাটানোর সময় সেখান থেকে উদ্ধার হয় একটি সাড়ে ৪ ফুট উচ্চতার প্রাচীন শিলামূর্তি। মূর্তিটি রথের উপরে দাঁড়িয়ে থাকা এক দেবীর। সাতটি বরাহ সেই রথের বাহন। মূর্তিটির ৩টি মাথা এবং ৮টি হাত । দেবীর প্রতিটি মুখে আছে ৩টি করে চোখ। তার মধ্যে মূর্তিটির মাঝের মুখটির ভঙ্গিমা শান্ত। ডান দিকের মুখটি ক্রুদ্ধ ভঙ্গিমায় এবং বাঁ দিকের মুখাবয়বটি বরাহের আদলে তৈরি। মূর্তির ৮টি হাতে রয়েছে সূচ, সুতো, অঙ্কুশ, রজ্জু, তির, ধনুক, বজ্র এবং অশোক গাছের ডাল। প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, মূর্তিটি আনুমানিক ১৩০০ বছরের প্রাচীন। অনেকের ধারণা ওই মূর্তিটি বৌদ্ধ দেবী অষ্টভুজাপিতা মারিচীর।

বেড়াগ্রামের ওই পরিবারটির সদস্য উদয় ঘোষ বলছেন, ‘‘পরিবারের মঙ্গলকামনা হবে, এই ভেবেই ওই মূর্তিটি প্রশাসনের হাতে তুলে না দিয়ে বাড়িতে পুজো করা হচ্ছিল। কিন্তু এখন দেখছি হিতে বিপরীত। দেবী কোনও কারণে রুষ্ট হয়েছেন। পুজো শুরুর ৩ দিনের মাথায় বাড়ির পোষ্য ৪টি মোষ হঠাৎ মারা যায়। ১০ দিনের মাথায় ঘরের চাল ভেঙে জখম হন বাড়িরই এক সদস্য।’’ আর এক সদস্য দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘‘এক দিন ঝড়বৃষ্টির সময় বাড়িতে বাজ পড়েছে। তার জেরে পরিবারের এক শিশুর শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমরা ওই মূর্তি আর বাড়িতে রাখতে চাই না।’’

Advertisement

এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের পূর্ব বর্ধমান জেলার সম্পাদক আশুতোষ পাল বলেন, ‘‘পুরোটাই মানুষের বিশ্বাস। আসলে সাধারণ ভাবেই অঘটন ঘটছে। আরও অনেকের বাড়িতে অঘটন ঘটছে। তার মানে এই নয় যে, সকলেই মূর্তি পেয়েছেন। মূর্তিটি প্রথমেই সংগ্রহশালায় দেওয়া উচিত ছিল। অঘটনটা পুরোপুরিই কাকতালীয় বিষয়।’’ কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উদ্ধার হওয়া ওই মূর্তিটি কাটোয়া মহকুমা গ্রন্থাগারে এনে রেখে দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement