স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে কয়েক জন যুবককে ধরে মারধরের পরে পুলিশের হাতে তুলে দিল জনতা। শনিবার কাঁকসার আড়রা শিবতলার ঘটনা। পুলিশ জানায়, চার যুবককে আটক করা হয়েছে। তবে সন্ধে পর্যন্ত কোনও ছাত্রী বা অভিভাবকের তরফে লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।
কাঁকসার রূপগঞ্জ গ্রামের বেশ কয়েকজন ছাত্রী পাশের গোপালপুর বালিকা বিদ্যালয়ে পড়ে। প্রতিদিন সাইকেলে তারা স্কুলে যায়। তাদের অনেকের অভিযোগ, আড়রা-শিবতলায় রাস্তার সুনসান অংশে জনা দশেক যুবক তাদের নানা ভাবে উত্ত্যক্ত করে। কখনও কটূক্তি, কখনও হাত ধরে টানাটানি করে।
ছাত্রীরা অভিভাবকদের এ কথা জানায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রূপগঞ্জ গ্রামের কয়েকজন যুবক ওই ফাঁকা রাস্তার পাশে জঙ্গলে লুকিয়ে ছিলেন। অভিযোগ, ছাত্রীরা স্কুল যাওয়ার সময়ে যুবকেরা এ দিনও পথ আটকায়। এক ছাত্রীর হাত ধরে টানাটানিও করে। তখনই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ওই যুবকদের ধরে ফেলেন রূপগঞ্জ গ্রামের যুবকেরা। কয়েক জন পালিয়ে গেলেও চার জন ধরা পড়ে যায়। খবর পেয়ে চলে আসেন কয়েক জন অভিভাবকও। অভিযোগ, পাকড়াও যুবকদের মারধর করা হয়।
কাঁকসা থানার পুলিশ গিয়ে চার যুবককে আটক করে। গোপালপুর গালর্স স্কুলের তরফে লিখিত ভাবে ছাত্রীদের নিরাপত্তা দাবি করা হয় কাঁকসা থানায়। প্রধান শিক্ষিকা কল্পনা মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলে বহু গ্রামের ছাত্রীরা পড়তে আসে। অনেকেই এই ঘটনার কথা শুনে স্কুলে আসতে ভয় পাচ্ছে। আমরা পুলিশের কাছে ছাত্রীদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছি।’’ পুলিশ জানায়, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।