জামুড়িয়ার নিমডাঙায়। নিজস্ব চিত্র
জেলায় দু’টি পৃথক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দু’জনের। আহত হয়েছেন ১২ জন। পুলিশ মৃতেরা হলেন, উত্তম বাউরি (২৭)। বাড়ি জামুড়িয়ার কালীমন্দির এলাকায়। এবং প্রণয় রায় (২৫)। বাড়ি বুদবুদ থানার জিজিরা গ্রামে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার চাঁদা-জামুড়িয়া যাওয়ার রাস্তায়, জামুড়িয়ার নিমডাঙা এলাকায় গাছে ধাক্কা মেরে মিনিবাস উল্টে যাওয়ায় বাসের খালাসি উত্তমবাবুর মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন ওই বাসেরই ১২ যাত্রী। তাঁদের আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাসটি আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসটি আসানসোল থেকে জামুড়িয়ার দিকে যাচ্ছিল। হঠাৎ উল্টোদিক থেকে আসা একটি মোটরবাইককে বাঁচাতে গিয়ে বাসচালক সাজোরে ব্রেক কষেন। বাসের গতি ভালই ছিল। তাই ব্রেক কষলেও বাসটি বেশ কিছুটা এগিয়ে যায়। রাস্তার পাশের একটি গাছে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় বাসটি। বাসের দরজার কাছে ছিলেন উত্তমবাবু-সহ দু’জন। তাঁরা বাসের নীচে চাপা পড়ে যান। ওই পথ দিয়ে আসানসোলে যাচ্ছিলেন পুরসভার মেয়র পারিষদ পূর্ণশশী রায়। তিনি তাঁর গাড়িতে আট জন ও বাকিদের অন্য গাড়িতে করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
জামুড়িয়ার ওসি (ট্র্যাফিক) প্রবীর পাল বলেন, “স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় বাসে আটকে থাকা প্রায় ৩৫ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে দ্রুত বাইরে বার করে আনা সম্ভব হয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও উত্তমবাবুকে বাঁচানো যায়নি।’’
বাসযাত্রী তালতোড়ের অজিত বাউরি বলেন, “বাসটি দ্রুতগতিতে চলছিল। ওই উল্টোদিক থেকে একটি বাইকও দ্রুতগতিতে আসছিল। বাসের চালক ব্রেক কষার পরেই আমরা হুড়মুড়িয়ে একে অপরের ঘাড়ে গিয়ে পড়ি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা আমাদের বাইরে বার করে আনেন।’’ পুলিশ জানিয়েছে, মৃত খালাসির দেহ আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয়েছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
অন্য দিকে, বুধবার গভীর রাতে বুদবুদের দেবশালা মোড়ের কাছে একটি ট্রাকের চাকা ফেটে যায়। প্রণয় রায় নামে ওই যুবক ওই ট্রাকের খালাসি ছিলেন। চাকা বদলানোর জন্য তিনি ট্রাক থেকে নেমেছিলেন। সেই সময় উল্টোদিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাঁকে ধাক্কা মেরে পালায়। আহত অবস্থায় তাঁকে রাজবাঁধের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।