জনরোষ: বর্ধমানের বামবটতলায় দুর্ঘটনার পরে বাসিন্দাদের ক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
দুর্ঘটনার গেরো কাটছে না দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে।
বুধবার পূর্ব বর্ধমানের বামবটতলায় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে সাইকেলে যাচ্ছিলেন এক দম্পতি। উল্টো দিক থেকে আসা ট্রাক ধাক্কা মারে তাঁদের। মারা যান সন্ধ্যা চৌধুরী (৪২)। জখম হন তাঁর স্বামী কৃষ্ণনাথ চৌধুরী। সাইকেলের ঠিক পিছনেই ছিল একটি মোটরবাইক। জখম হন সেই চালকও। ঘটনার পরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।
আবার ওই জাতীয় সড়কেই এ দিন গলসির রাকোনা মোড়ে মুরগি বোঝাই ম্যাটাডরের সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারান ম্যাটাডরের চালক ও খালাসি। আরও তিন জন জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চৈতপুর গ্রামের চৌধুরী দম্পতি ব্যাঙ্কের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁরা রাস্তার এক পাশ দিয়ে গেলেও পণ্যবাহী ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এসে সাইকেলে ধাক্কা মারে। কৃষ্ণনাথবাবু ও সন্ধ্যাদেবী পড়ে যান। মাথায় আঘাত পেয়ে সেখানেই মারা যান সন্ধ্যাদেবী। কৃষ্ণনাথবাবু ও তাঁদের পিছনে আসা মোটরবাইক চালক শেখ টোটন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দুর্ঘটনাস্থলে অবরোধকারী স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, ওই এলাকায় পরিবহণ দফতরের চেক-পোস্ট থাকায় রাস্তার ধারে বহু ট্রাক ও লরি দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকে। নানা কারণে আটক হওয়া ট্রাকগুলিও রাস্তার অনেকটা জুড়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ফলে, চলাচলের জন্য রাস্তার একটা সরু অংশ কার্যকর থাকে।
অন্য দিকে, ওই এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে পরপর গ্রাম রয়েছে। কিন্তু সেগুলিতে চলাচলের বিকল্প রাস্তা না থাকায় জাতীয় সড়ক ধরেই এলাকাবাসীকে সাইকেল, মোটরবাইকে যাতায়াত করতে হয়। সে জন্যই ঘটছে দুর্ঘটনা।
আধ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ অবরোধ তুলে দেয়। পরিবহণ দফতরের কর্তারা এলাকাবাসীর অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
গলসির ক্ষেত্রে অবশ্য ওই ম্যাটাডর চালক ঘুমিয়ে পড়ায় দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়। জানা গিয়েছে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা মারে ম্যাটাডরটি। মারা যান চালক শেখ ফিরোজ (২০) ও খালাসি শেখ রাজেশ (১৮)। দু’জনেরই বাড়ি ভাতারের পানুয়া গ্রামে। তাঁরা মুরগি নিয়ে ঝাড়খণ্ডে যাচ্ছিলেন।