শিড়রাইয়ে অশান্তি

বোমাবাজিতে ফের প্রশ্নে দ্বন্দ্ব

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ পশ্চিমপাড়ার মসজিদতলার কাছে অশান্তি শুরু হয়। শিড়রাই পঞ্চায়েত সদস্য সাবলু শেখ ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রোকেয়া বেগমের দ্বন্দ্বই এই অশান্তির কারণ বলে এলাকাবাসীর দাবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গলসি শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৯ ০১:২৭
Share:

চলছে তল্লাশি। নিজস্ব চিত্র

ফের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে বোমাবাজি হল গলসি ১ ব্লকের শিড়রাই পঞ্চায়েতের শান্তিবাগ এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বৃহস্পতিবার সকালে তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যেই ওই গোলমাল হয়। গুলিও চলে বলে অভিযোগ। তবে কেই আহত হননি। পুলিশ পরে ১২ জনকে আটক করেছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ পশ্চিমপাড়ার মসজিদতলার কাছে অশান্তি শুরু হয়। শিড়রাই পঞ্চায়েত সদস্য সাবলু শেখ ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রোকেয়া বেগমের দ্বন্দ্বই এই অশান্তির কারণ বলে এলাকাবাসীর দাবি। তৃণমূল সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় পারাজ মোড়ে দলের ব্লক সভাপতি শেখ জাকির হোসনের ভাইকে হেনস্তার অভিযোগ ওঠে দলেরই কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে। সাবলু তাঁরই অনুগামী। এ দিনের গোলমাল তারই পাল্টা বলেও তৃণমূল সূত্রের খবর। সকালে শিড়রাই গ্রামের পাশে ঢোলা মোড়ের কাছে জড়ো হন সাবুলু-সহ তৃণমূলের বেশ কয়েকজন কর্মী। অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষের অনুগামী কাজল মল্লিক, অরুণ শেখ, কুতুব শেখেরা বাধা দেন তাঁদের। শুরু হয় বোমাবাজি।

কাজলের অভিযোগ, ‘‘পঞ্চায়েত প্রধান হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন সাবলু। কিন্তু ১৬ জন সদস্যের মধ্যে ১৫ জনই ওঁকে মেনে নিতে পারেনি। সেই কারণেই নানা বিষয় নিয়ে গ্রামে অশান্তি করছে। যাকে তাকে ধরে জরিমানা করছে। পঞ্চায়েত অচল করে দেওয়ারও চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রধানও ওঁর ভয়ে পঞ্চায়েত অফিস ঢুকতে পারছেন না।’’ তাঁর আরও দাবি, এ দিন সে সবের প্রতিবাদ করাতেই বোমাবাজি করে সাবলুর লোকজন।

Advertisement

যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ সাবলু শেখ। তিনি বলেন, ‘‘কাজলের জন্য গ্রামে উন্নয়নের কাজ দীর্ঘদিন ধরে থেমকে রয়েছে। সেই নিয়ে ব্লক সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। সেই নিয়ে ব্লক অফিসেও বৈঠক ছিল। সেখানে যাওয়ার সময়েই কাজল ও তাঁর দলবল আমাদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। গুলি চালায়। আমরা কোনও রকমে মাঠ দিয়ে পালিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছি।’’

তৃণমূলের ব্লক সভাপতি যদিও দাবি, গোষ্ঠীকোন্দলের কোনও ব্যাপারই নেই। তিনি বলেন, ‘‘কাজল, সাবলুরা সবাই আমার সঙ্গে দলের কাজ করে। গ্রামের কোনও গণ্ডগোল নিয়েই এই ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি। আলোচনা করে মিটিয়ে দেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন