সিইও অফিসের সামনে বিএলও-দের একাংশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি পুলিশের। ছবি: সংগৃহীত।
আবার কলকাতায় রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতরের সামনে বিক্ষোভ ‘বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি’র সদস্যদের। সোমবার বেলা বাড়তেই উত্তেজনা ছড়ায় সিইও অফিসের সামনে। দফায় দফায় উত্তেজনা বাড়ে। বিএলও-দের ব্যারিকেড টপকানোর চেষ্টা, পুলিশে বাধা, ধস্তাধস্তি, কথা কাটাকাটি এবং শেষে ধরপাকড়! সোমবার এমনই নানা ছবি দেখা যায় সিইও দফতরের বাইরে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, বিএলও অ্যাপে বার বার সংযোজন হচ্ছে। ফলে কাজের চাপ বাড়ছে। বার বার কমিশনকে জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। আর এসআইআরের কাজ করবে না বলেও আওয়াজ উঠছে জমায়েত থেকে।
এসআইআরের কাজ নিয়ে বার বার নিজেদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন ‘বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি’র সদস্যেরা। রাজ্যের সিইও মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন তাঁরা। দিন কয়েকের মধ্যে সেই সব ক্ষোভ-দাবিকে সামনে রেখে সিইও দফতর অভিযান করেছেন ‘বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি’র সদস্যেরা। দাবি, এখনও তাঁদের ক্ষোভের কথা শুনছে না কমিশন। দিনে দিনে বাড়িয়ে যাচ্ছে কাজের পরিমাণ।
গত কয়েক দিন ধরেই দফায় দফায় সিইও দফতরের সামনে অবস্থান চালাচ্ছে তৃণমূলপন্থী সংগঠন ‘বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি’। গত শনিবারই তারা জানায়, যে ভাবে কমিশন ‘চাপ’ দিচ্ছে, তাতে আর তারা এসআইআরের কাজ করবে না! সোমবার তা নিয়েই সিইও দফতর অভিযান করে বিএলও-দের একাংশ। পাঁচ দিক থেকে সিইও দফতরের পৌঁছোন তাঁরা। তবে সিইও দফতরের থেকে খানিক দূরেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ।
পুলিশের ব্যারিকেডে বাধা পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিক্ষোভরত বিএলও-রা। তাঁদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। এর মাঝেই কয়েক জন বিএলও ব্যারিকেডে ঠেলাঠেলি শুরু করেন। বাধা দেয় পুলিশ। সেই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিএলও-দের একাংশের। আন্দোলনকারীদের দাবি, কমিশনের কথা বলতে অসুবিধা কোথায়? সিইও দফতের সামনে আবার ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান-বিক্ষোভের হুঁশিয়ারিও দেন তাঁরা।
পুলিশের তরফে বার বার আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে অনুরোধ করা হয়, ‘‘আইন অমান্য করবেন না। ব্যারিকেড থেকে সরে দাঁড়ান।’’ কিন্তু আন্দোলনকারীদের সে কথায় কর্ণপাত করেননি। কেউ কেউ ব্যারিকেডের উপর চড়ে বসেন। কেউ টপকানোর চেষ্টা করেন। আর পুলিশ বাধা দিয়ে ধস্তাধস্তি বাধে। খবর, ধস্তাধস্তিতে এক পুলিশ আধিকারিক আহত হয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ধরপাকড়ও করে পুলিশ। কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে বলে খবর।