আউশগ্রামে আটক ধানবোঝাই লরি। নিজস্ব চিত্র
ফের ধানবোঝাই গাড়ি আটক করল পুলিশ। সোমবারেও জেলা জুড়ে অভিযান চলে। মঙ্গলকোট, নাদনঘাট, ভাতার-সহ নানা এলাকায় ৭টি গাড়ি আটকে মোট ৮০৫ কুইন্টাল ধান বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। চালান বা নথি দেখাতে না পারায় ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগও হয়। জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভিন জেলা থেকে ধান-পাচার আটকাতে এ রকম অভিযান চলবে।
আউশগ্রাম পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে অজয়ের উপর অবন সেতু পেরিয়ে ২বি জাতীয় সড়ক ধরে আসার সময় ভেদিয়ার কাছ থেকে কিছু গাড়ি আটক করা হয়। পুলিশের দাবি, ছ’টি গাড়িতে মোট ৮৯৫ বস্তা ধান ছিল, যার পরিমাণ ৪৬৫ কুইন্টাল। বৈধ চালান ছাড়া ধান পাচারের অভিযোগে ছ’টি গাড়ির চালককে গ্রেফতার করে সোমবার বর্ধমান আদালতে পাঠায় আউশগ্রাম থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, ওই ধান বীরভূম থেকে নিয়ে আসা হচ্ছিল। বর্ধমানের কোনও চালকলে তা বিক্রি করা হত বলেও ধারণা পুলিশের। ধান বিক্রিতে ফড়েদের দৌরাত্ম্য রুখতে একের পর এক ভিন জেলার ধানবোঝাই গাড়ি আটক করছে জেলা পুলিশ। গত দু’দিনে আউশগ্রাম এবং মঙ্গলকোট থেকে অনেকগুলি গাড়ি আটক করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়ব্রত রায় জানান, বীরভূম থেকে ধান নিয়ে আসা ওই সমস্ত গাড়ির চালকদের কাছে কোনও চালান বা বৈধ কাগজপত্র ছিল না। চালকদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কিসান মান্ডি এবং সমবায় সমিতিগুলিতেও নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ দিন নদিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধান এনে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বেআইনি ভাবে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পূর্বস্থলীর নাদনঘাট থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম মাধব রায়, অতনু বিশ্বাস, গোপাল সাহা, যাদব ঘোষ এবং ধনেশ দেবনাথ। তাঁদের বাড়ি শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর এবং হাঁসখালি এলাকায়। ধৃতদের কাছ থেকে মিলেছে ২৪২ বস্তা ধান।
সম্প্রতি কালনার কিসান মান্ডিগুলির কয়েকটিতে অভিযান চালান রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি পুলিশকে জানিয়ে যান, ফোড়েদের উপর নজরদারি চালিয়ে যেতে হবে। নাদনঘাট থানার দাবি, বিভিন্ন এলাকায় ২৪ ঘণ্টা নাকাতল্লাশি চলছে। রবিবার হেমায়েতপুর মোড়ে দুটি গাড়ি এবং পাঁচটি ধানবোঝাই টোটো আটকে তল্লাশি চালায় পুলিশ। কোনও নথি দেখা না পারায় পুলিশের সন্দেহ বাড়ে। এর পরেই পুলিশ পাঁচ জনকে ধরে।