অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা

পড়াশোনার হাল, মিড-ডে মিল নিয়ে অভিযোগ তুলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। সাঁইথিয়ার মাঠপলসা অঞ্চলের নবডাঙাল গ্রামের শুক্রবার সকালের ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৬ ০১:১৬
Share:

পড়াশোনার হাল, মিড-ডে মিল নিয়ে অভিযোগ তুলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা।

Advertisement

সাঁইথিয়ার মাঠপলসা অঞ্চলের নবডাঙাল গ্রামের শুক্রবার সকালের ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকদের দাবি, এই কেন্দ্রের দিদিমনি ও সহায়িকা নির্ধারিত সময়ের বহু পরে আসেন। দায়সারা ভাবে খিচুড়ি রান্না করে কয়েক জন শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের পৌঁছে দিয়ে বাড়ি চলে যান। আর পড়াশোনা হয় না বললেই চলে। এরই প্রতিবাদে এ দিন তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। কোনও অভিযোগই মানতে চাননি ওই কেন্দ্রের দিদিমনি ও সহায়িকা।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নবডাঙাল গ্রামের ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ছ’মাস থেকে তিন বছর পর্যন্ত শিশু রয়েছে ৩৭ জন। তিন থেকে ছ’বছর পর্যন্ত শিশু সংখ্যা ২৯ জন। গর্ভবতী মহিলা রয়েছেন ১৪। সংখ্যাটা সব মিলিয়ে ৮০। নিয়ম হল, শিশুদের প্রতিদিন পড়ানোর পাশাপাশি সকাল সাড়ে ন’টা থেকে দশটার মধ্যে পেট পুরে খেতে দেওয়ার কথা। কিন্তু ওই কেন্দ্রের দিদিমনি ও সহায়িকারা কেউ সঠিক সময়ে আসেন না বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ মোজাম্মেল হক, অভিভাবক মহম্মদ সাইফুদ্দিন, শেখ মনিরুদ্দিনরা বলেন, ‘‘কেউই সাড়ে ন’টার আগে আসেন না। রান্না সেরে খেতে দেন আরও দু’-আড়াই ঘণ্টা পরে।’’ শুধু দেরি করে আসা নয়, শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, সামান্য আলু, কুমড়ো ও চাল-ডাল দিয়ে খিচুড়ি করে খেতে দেওয়া হয়। কোনও দিন অর্ধেক ডিম সিদ্ধ, কোনও দিন আবার সেটুকুও মেলে না! এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দফতরে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।

Advertisement

দিদিমনি প্রতিভা মণ্ডল ও সহায়িকা হাসিনা খাতুনের দাবি, আটটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে তাঁরা পৌঁছে যান। অন্য অভিযোগ প্রসঙ্গে তাঁদের জবাব, ‘‘নিয়ম মেনেই খাবার দেওয়া হয়।’’ অধিকাংশ শিশু নিয়মিত আসে না বলেও পাল্টা অভিযোগ তুলছেন তাঁরা। মাঠপলসা এলাকার সুপারভাইজার স্নিগ্ধা দে মুখোপাধ্যায় জানান, সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন