Agitation: রোগীর মৃত্যুতে বিক্ষোভ অণ্ডালে

গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রেল কর্তৃপক্ষ। তবে অক্সিজেন সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২১ ০৬:২৭
Share:

প্রতীকী চিত্র।

অক্সিজেনের ‘অভাব’ ও চিকিৎসায় ‘গাফিলতি’র জেরে রোগী-মৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল অন্ডাল রেল হাসপাতাল চত্বরে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার ঘটনা। রাজ্য ও রেল পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রেল কর্তৃপক্ষ। তবে অক্সিজেন সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে মদনপুরের বাসিন্দা তথা প্রাক্তন রেলকর্মী সনাতন দাসকে (৭০) ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যায় তাঁকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার কথা বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীকে আসানসোলের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁর পরিজনেরা।

সনাতনবাবুর পরিবারের অভিযোগ, অণ্ডাল রেল হাসপাতাল অ্যাম্বুল্যান্স দিলেও তাতে অক্সিজেনের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। তাঁরা সে কথা কর্তৃপক্ষকে জানালে, তাঁরা হাসপাতাল থেকে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার দেন। কিন্তু তাতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ছিল না বলে অভিযোগ। এমনকি, হাসপাতালের কোনও কর্মী সিলিন্ডারটি অ্যাম্বুল্যান্সে তুলেও দেননি বলে দাবি। সে কাজ করতে হয় অ্যাম্বুল্যান্সের চালককে। তার পরে, সনাতনবাবুকে ওই অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে আসানসোলের উদ্দেশে রওনা দেন তাঁর পরিজনেরা।

Advertisement

রোগীর নাতি সুশান্ত দাসের অভিযোগ, আসানসোল যাওয়ার পথেই সিলিন্ডারে অক্সিজেন ফুরিয়ে যায়। তার পরে সনাতনবাবুর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তখন তাঁরা রোগীকে ফের অণ্ডালের রেল হাসপাতালে ফিরিয়ে আনেন। মদনপুরের বাসিন্দা তথা তৃণমূল নেতা পার্থ দেওয়াসির অভিযোগ, ‘‘ওই সময় হাসপাতালে কোনও ডাক্তার ছিলেন না। ডাক্তারের জন্য অপেক্ষা করার ফাঁকেই সনাতনবাবুর মৃত্যু হয়।’’ এর পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রোগীর আত্মীয়েরা। পার্থবাবুর নেতৃত্বে শুরু হয় বিক্ষোভ।

অণ্ডাল রেল হাসপাতাল সূ্ত্রে জানানো হয়েছে, রোগীর পরিজনেরা হাসপাতাল চত্বরে দেহ রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন। অক্সিজেনের অভাব এবং চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার দাবিও তোলেন। এই নিয়ে শোরগোল শুরু হলে রেল ও রাজ্য পুলিশের বাহিনী হাসপাতালে পৌঁছয়। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বেশ কিছুক্ষণ বচসা চলে। তার পরে, পুলিশ তাঁদের হাসপাতাল চত্বর থেকে সরিয়ে দেয়।

পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক সুবলচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘অণ্ডাল রেল হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার জানিয়েছেন, ওই রোগী সাত দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। ওঁর জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়া হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী, অক্সিজেন লাগানোর কথা সংশ্লিষ্ট এজেন্সির। কেন অক্সিজেন শেষ হয়ে গিয়েছিল তা নিয়ে তদন্ত চলছে।’’ হাসপাতালে চিকিৎসক ছিলেন না বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা ভিত্তিহীন বলে সুবলবাবুর দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement