বেহাল পার্কে দুষ্কর্মের আসর

প্রায় ১৭ বছর আগে তৈরি হয়েছিল শিশু উদ্যান। সেখানে এক সময়ে নৌকাবিহার, খেলাধুলোর নানা ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু বর্তমানে রানিগঞ্জের সেই শিশু উদ্যানটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। শুধু তাই নয়, উদ্যানটির নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৭ ০১:২৯
Share:

প্রশ্নে: এই পার্ক নিয়েই নালিশ। নিজস্ব চিত্র

প্রায় ১৭ বছর আগে তৈরি হয়েছিল শিশু উদ্যান। সেখানে এক সময়ে নৌকাবিহার, খেলাধুলোর নানা ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু বর্তমানে রানিগঞ্জের সেই শিশু উদ্যানটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। শুধু তাই নয়, উদ্যানটির নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০০ সালে উদ্যানটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্যদের (এডিডিএ) টাকায় উদ্যানটি তৈরি হয়। উদ্যানটি দেখভালের দায়িত্বে ছিল পুরসভা। উদ্যানটি শুরুর সময়ে পুকুর সংস্কার করে নৌকাবিহার, দোলনা প্রভৃতির ব্যবস্থা করা হয়। জোর দেওয়া হয় সৌন্দর্যায়নেও। স্থানীয় বাসিন্দা রামচন্দ্র কুমার বলেন, “এক সময় শীতকালে ওই উদ্যানে পিকনিকের আসর বসত। নাতি-নাতনিকে নিয়ে বিকেলে ঘুরতে যেতেন এলাকার প্রবীণরাও।’’

কিন্তু বছর তিনেক পরে থেকেই ছবিটা দ্রুত বদলাতে শুরু করে বলে অভিযোগ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দোলনা প্রায় সময়েই অকেজো থাকে। তা ছাড়া নিকৈবিহারও বন্ধ হয়ে যায়।

Advertisement

উদ্যান শুরুর সময়ে পুরসভা একটি সংস্থাকে দেখভালের দায়িত্ব দেয়। সেই সংস্থার তরফে চন্দন রায় দাবি করেন, ‘‘চতুর্থ শ্রেণির দু’জন শিশু এক সময়ে নৌকা থেকে জলে পড়ে যায়। তার পরে থেকেই নৌকাবিহার বন্ধ করে দেওয়া হয়। উদ্যানের রক্ষণাবেক্ষণে খামতি নেই।’’

যদিও এলাকাবাসীর অভিযোগ, সন্ধ্যা নামলেই উদ্যানে বসছে মদের ঠেক। তা ছাড়া এক বার এই উদ্যানের অদূরেই ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এই সমস্ত ঘটনায় উদ্যান ও লাগোয়া এলাকার নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শহরবাসীর একাংশ।

চন্দনবাবুর যদিও দাবি, ‘‘উদ্যানের নিরাপত্তা নিয়ে পুরসভার সঙ্গে বৈঠক করে আরও কঠোর পদক্ষেপ করা হয়।’’

আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, “বর্তমান সংস্থার গাফিলতিতেই উদ্যানটি ঐতিহ্য হারিয়েছে। ওই ঠিকা সংস্থার মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে। রক্ষণাবেক্ষণ ও সৌন্দর্যায়নের জন্য দরপত্র ডাকা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন