পুজোর উদ্বোধন করেছেন মেয়র। আমন্ত্রণ জানানো হয়নি স্থানীয় কাউন্সিলরকে। সেই রোষে আয়োজক ক্লাবের সম্পাদকের বাড়ি ও গাড়িতে হামলা চালিয়েছে কাউন্সিলরের অনুগামীরা, অভিযোগ উঠল দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপের এ-জোনের অশোক অ্যাভিনিউয়ে। ওই কাউন্সিলর রাজীব ঘোষ অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা দাবি করেন, ক্লাবকর্তাদের অন্তর্দ্বন্দ্ব থেকেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
রবিবার থেকেই শহরে কালীপুজো মণ্ডপের উদ্বোধন হচ্ছে। দুর্গাপুরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ওই ক্লাবের পুজোর উদ্বোধন করেন শহরের মেয়র দিলীপ অগস্তি। তবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর রাজীববাবুকে। ক্লাবের সম্পাদক, অশোক অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা তপন চক্রবর্তী পুলিশের কাছে অভিযোগে করেছেন, কাউন্সিলরকে না ডাকায় তাঁর জনা সাতেক অনুগামী সোমবার গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে ইট-পাটকেল ছোড়ে। দীপাবলীর জন্য লাগানো ছোট আলোর সারি টেনে ছিঁড়ে দেয়। সেই সঙ্গে অকথ্য গালিগালাজ করে তারা। পালানোর আগে বাড়ির উঠোনে রাখা গাড়ির সামনের কাচ ইট দিয়ে ভেঙে দিয়ে যায় তারা।
তপনবাবু জানান, তিনি থানায় খবর দিলে রাতেই পুলিশ এসে সব দেখে যায়। মঙ্গলবার বিকেলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তপনবাবুর অভিযোগ, ‘‘মেয়রকে পুজোর উদ্বোধনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কাউন্সিলর এলাকারই মানুষ, তাঁকে আর আনুষ্ঠানিক ভাবে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়নি। কিন্তু সে জন্য যে এমন হামলা হবে ভাবিনি!’’
যদিও তাঁর কোনও অনুগামী হামলা করেছেন, এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন কাউন্সিলর রাজীববাবু। তাঁর বক্তব্য, ‘‘শহরের নানা জায়গায় পুজো হচ্ছে। কাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে তা একান্তই আয়োজকদের বিষয়। ওই ক্লাব সে ভাবেই মেয়রকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।’’ তিনি পাল্টা দাবি করেন, ‘‘বাম আমলে ক্লাবের সম্পাদক অনেকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন। ক্লাবকর্তাদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় এই ঘটনা ঘটেছে।’’
তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কী ঘটেছে জানি না। উৎসব-অনুষ্ঠানে এমন ঘটনা কাম্য নয়। আসল ঘটনা কী তা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানব।’’