আর গান গেয়ে মিলবে না ভোট: অরূপ

মন্ত্রী ছাড়াও এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন শহরের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি, কুলটির বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। মেয়র জানান প্রায় আড়াইশো কোটি টাকা খরচ করে কুলটির জল প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:০৬
Share:

নিয়ম-ভাঙা: মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে হেলমেট ছাড়াই মোটরবাইক র‌্যালি তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। বুধবার। ছবি: শৈলেন সরকার

সরকারি নানা প্রকল্পের উদ্বোধনের জন্য আসানসোলে এসে নাম না করে এখানকার সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে বিঁধলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বুধবার দু’দিনের শিল্পাঞ্চল সফরে আসেন রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ডিসেরগড়ে আয়োজিত জনসভায় তিনি বলেন, ‘‘কুলটির জলপ্রকল্পটি আমাদের বহুদিনের স্বপ্ন। অবশেষে সেটি রূপায়িত হতে চলেছে। ২০১৯ সালের আগেই আসানসোল-কুলটির প্রত্যেক ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে যাবে। আমরা উন্নয়নের সঙ্গে আছি। আর কেউ কেউ গান গেয়ে জনতার ভোট লুঠ করছেন।’’ তাঁর সংযোজন বলেন, ‘‘আগামী লোকসভায় আর গান গেয়ে ভোট মিলবে না। কারণ আমরা এত উন্নয়ন করেছি যে, উন্নয়নের বিরুদ্ধেই লড়াই করতে হবে।’’ এ প্রসঙ্গে কী বলছেন বাবুল? চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। এসএমএসের উত্তরও মেলেনি।

Advertisement

মন্ত্রী ছাড়াও এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন শহরের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি, কুলটির বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। মেয়র জানান প্রায় আড়াইশো কোটি টাকা খরচ করে কুলটির জল প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। ডিসেরগড়ে প্রায় সাড়ে ১৭ লক্ষ গ্যালনের জলাধার তৈরি করা হচ্ছে। সভা করার আগে মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস সকালে প্রথমে কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেন। পরে কল্যাণেশ্বরী বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া আসানসোল পুরসভার তৈরি একটি শৌচাগারের উদ্বোধন করেন। কল্যাণেশ্বরীতে পুরসভার উদ্যোগে একটি অতিথিশালা নির্মাণের শিলান্যাসও করেন তিনি। সেখান থেকে মন্ত্রী চলে যান ডিসেরগড়ে। সেখানে আসানসোল পুরসভার উদ্যোগে তৈরি হওয়া একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দ্বারোন্মোচন তিনি।

তারপরে যোগ দেন ডিসেরগড়ে আয়োজিত জনসভায়। সেখানে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উন্নয়নের কারিগর আখ্যা দিয়ে এক হাত নিয়েছেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। অরূপবাবুর দাবি, রাজ্যে এক দিকে যখন তাঁরা উন্নয়নের জোয়ার তুলেছেন। ঠিক তখনই জাত-পাতের রাজনীতি করে দেশ ও রাজ্যকে অশান্ত করছে বিজেপি।

Advertisement

এ দিন সকাল থেকেই মন্ত্রীর কনভয়ের সঙ্গে এলাকা দাপিয়েছে দলের প্রায় হাজার তিনেক মোটরবাইক। অথচ কোনও বাইক আরোহীর মাথায় হেলমেট ছিল না। মানুষকে সচেতন করতে সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বার বার সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের কথা বলছেন এবং পুলিশ-প্রশাসনের তরফে নানা রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সেখানে দলেরই কর্মী-সমর্থকেরা হেলমেট ছাড়া চলল কী করে? এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অরুপবাবু বলেন, ‘‘আমি বাইক র‌্যালিটি দেখিনি। তবে প্রত্যেক বাইক আরোহীর হেলেমেট পরা উচিত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন