শীতবস্ত্র বিক্রেতার মুখে হাসি, ভিড় কাবাবের দোকানেও

আগের দিনই বেজার মুখে বসেছিলেন দোকানদার। শীতের যেমন দেখা নেই, ক্রেতারও আনাগোনা নেই। বৃহস্পতিবার সেই দোকানদারেরই মুখে হাসি।

Advertisement

অর্পিতা মজুমদার

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৪৩
Share:

বাঁ দিকে, দুর্গাপুরে শীতবস্ত্রের দোকানে কেনাবেচা। ছবি: বিশ্বনাথ মশান

আগের দিনই বেজার মুখে বসেছিলেন দোকানদার। শীতের যেমন দেখা নেই, ক্রেতারও আনাগোনা নেই। বৃহস্পতিবার সেই দোকানদারেরই মুখে হাসি। আচমকাই বেশ জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ায় শীতবস্ত্র কেনার জন্য ভিড় জমিয়েছেন মানুষজন। হাসি ফুটেছে কাবাব-তন্দুরির দোকানদারদের মুখেও। তবে সন্ধ্যা নামার পর থেকে ফাঁকা হতে শুরু করছে শহরের রাস্তাঘাট।

Advertisement

আসানসোল-দুর্গাপুরে সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার তা দাঁড়ায় ১২ ডিগ্রিতে। বুধবার রাতে সেটাই নেমে আসে ৯ ডিগ্রিতে। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ, শুক্রবারও সে রকমই তাপমাত্রা থাকবে বলে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাষ।

শীতবস্ত্রের সম্ভার নিয়ে নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে অপেক্ষায় ছিলেন দোকানদারেরা। কিন্তু অর্ধেক ডিসেম্বর পেরিয়ে গেলেও সে ভাবে ঠান্ডা না পড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। তবে আশা করছিলেন, কিছু দিনের জন্য হলেও পারদ নামবে। তখন বিক্রিবাটা হবে। বুধবার বিকেল থেকে তাপমাত্রা বেশ খানিকটা কমে যায়। সন্ধ্যা নামতেই কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হয়। এরই মধ্যে ভিড় বেড়েছে শীতবস্ত্রের দোকানে। বেনাচিতির একটি দোকানের কর্মী বিনোদ দাস বলেন, ‘‘বুধবার সন্ধ্যায় বেশ কয়েকজন সোয়েটার কিনতে এসেছিলেন।’’ বাইরে থেকে এসে অস্থায়ী স্টলে শীতবস্ত্র নিয়ে বসা বিক্রেতাদের মুখেও হাসি ফুটেছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বিকেলে দুর্গাপুরের কাবাব-তন্দুরির দোকানেও বেশ ভিড়। দোকানের কর্মীরা জানান, সারা বছরই কমবেশি চাহিদা থাকে কাবাবের। তবে শীত পড়তেই তা খানিকটা বেড়ে যায়। এ বারও তেমনটাই হয়েছে। দোকানে লাইন দেওয়া ক্রেতাদের অনেকের মতে, শীতে যেন কাবাবের স্বাদ বেড়ে যায়। হাতেগরম টিক্কা কাবাব, রেশমি কাবাব, টেংরি কাবাবের জন্য তাই ভিড় জমিয়েছেন তাঁরা। অনেকের আবার পছন্দ চিকেন তন্দুরি। কেউ-কেউ পনির টিক্কা কাবাবও নিচ্ছেন। পথচলতি অনেকে রাস্তার ধারের ফুড-স্টলগুলিতে ঢুঁ দিচ্ছেন শীতের বিকেলে।

ভিড় বেড়েছে চা-কফির স্টলগুলিতেও। বিকেলের দিকে ঠান্ডা হাওয়া বাড়তেই দেখা যায়, রাস্তার ধারে অনেকে আগুন জ্বালিয়ে হাত সেঁকে নিচ্ছেন। শহরবাসীর অনেকে জানান, বাড়িতে ‘লিট্টি পার্টি’র আয়োজন করে ফেলেছেন। ডিএসপি টাউনশিপের টুম্পা সরকার, অমৃতা কেশরীদের কথায়, ‘‘একা লিট্টি বানাতে অনেক কসরত করতে হয়। সকলে মিলে এক সঙ্গে আড্ডা হবে, আগুনে হাত সেঁকাও হবে।’’ সন্ধ্যার মধ্যেই অবশ্য বাড়িতে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছেন শহরবাসীর বড় অংশ। রাত বাড়তেই শীতের দাপটে রাস্তাঘাট তাই প্রায় সুনসান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন