Dengue

কোথাও কেউ অসুস্থ কি না, খোঁজ ‘ডেঙ্গিতে’ মৃত্যুর পরে

আসানসোল পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের পুরনো স্টেশনপাড়ার বাসিন্দা, বছর ছাপান্নর রাজেন্দ্র সিংহের ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে বলে দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতাল ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:০৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত যে রিপোর্ট মিলেছিল, তাতে অনেক ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ থাকলেও মৃত্যুর কোনও খবর ছিল না। তাই খানিকটা স্বস্তিতেই ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল পুরসভা ও প্রশাসনের কর্তারা। তাঁরা মনে করছিলেন, শীত পড়ে গিয়েছে। ঠান্ডার মরসুমে মশার উপদ্রব কমে। তাই এ বছর আর বিশেষ বিপদের সম্ভাবনা নেই বলে আশা ছিল তাঁদের। কিন্তু রবিবার সন্ধ্যায় আসানসোলের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের এক প্রৌঢ়ের ডেঙ্গিতে মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার পরে চিন্তায় পড়েছেন পুরসভার স্বাস্থ্য-কর্তারা। সজাগ থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কাউন্সিলরদের। কোনও বাসিন্দার জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলেই রক্ত পরীক্ষা করিয়ে স্বাস্থ্য দফতরকে জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আসানসোল পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের পুরনো স্টেশনপাড়ার বাসিন্দা, বছর ছাপান্নর রাজেন্দ্র সিংহের ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে বলে দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতাল ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ করেছে। সোমবার বিষয়টি জানেন পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। সকালেই ওই এলাকায় স্বাস্থ্য দফতরের দল পাঠানো হয় বলে জানান পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক দীপক গঙ্গোপাধ্যায়। তথ্য সংগ্রহে সেই অভিযান চলে মঙ্গলবারও। এ দিন সকালে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা এলাকা ঘুরে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন।

দীপকবাবু বলেন, ‘‘প্রতি বাড়িতে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে, নতুন করে কেউ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন কি না।’’ তাঁর দাবি, এডিস মশার চারিত্রিক পরিবর্তন ঘটেছে। তাই সতর্কতা খুবই প্রয়োজন। মঙ্গলবার সারা দিন আর কারও জ্বরে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি বলে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। অঙ্গনওয়াড়ি এবং আশাকর্মীদের এলাকা ঘুরে অসুস্থতা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের কাজে লাগানো হয়েছে।

Advertisement

৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশ অভিযোগ করেন, এলাকা নিয়মিত সাফ হয় না। ডাঁই হয়ে থাকে আবর্জনা। নিকাশি ব্যবস্থাও ভাল নয়। এলাকায় কোনও ভ্যাট না থাকায় যেখানেসেখানে আবর্জনা ছড়িয়ে থাকে। তবে অনিয়মিত সাফাইয়ের অভিযোগ মানতে চাননি স্থানীয় কাউন্সিলর দিলীপ মালি। তিনি বলেন, ‘‘এলাকায় ভ্যাট নেই, এ কথা ঠিক। কিন্তু আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সাফাইয়ে কাজ করাই।’’

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কাউন্সিলরের কার্যালয়ে একটি বিশেষ ‘সেল’ খোলা হয়েছে। কেউ অসুস্থ হলে সেখানে খবর দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পুরসভার প্রত্যেক কাউন্সিলরকে নিজের এলাকায় ঘুরে বাসিন্দাদের অসুস্থতা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ এবং সাফাই ও নিকাশির কাজে নজরদারির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে পুরসভা কর্তৃপক্ষ জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন