বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কী ভাবে ব্যবসায়িক ভাবে মানুষের কাজে লাগানো যায়, সে জন্য কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের সঙ্গে উদ্যোগপতিদের বৈঠকের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থা ‘সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ (সিএমইআরআই)। সেই মতো শুক্রবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৩৮ জন উদ্যোগপতি উপস্থিতও হন দুর্গাপুরে। কিন্তু সংস্থা চত্বরে এসেও সেই বৈঠকে যোগ দিলেন না মন্ত্রী। এমন ঘটনায় হতাশার কথা গোপন করেননি উদ্যোগপতিরা।
মাসখানেক আগে সংস্থায় এসে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ডক্টর হর্ষ বর্ধন বিজ্ঞানের গবেষণাকে আরও বেশি করে মানুষের কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়ে যান। তারপরেই এ দিনের বৈঠকের আয়োজন করা হয় বলে জানান সংস্থার কর্তারা। সেখানে গবেষকেরা বিভিন্ন নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানান। সেই প্রযুক্তিগুলি মানুষের কাজে লাগানো যায় কি না, সে বিষয়ে মত বিনিময় করেন উদ্যোগপতিরাও। এই বৈঠকেই বাবুল সুপ্রিয়র যোগ দেওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু শুক্রবার উদ্যোগপতিদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা গেলেও মন্ত্রীর দেখা মেলেনি। যদিও এ দিনই সংস্থায় এসে বাবুল বিভিন্ন যন্ত্রপাতির কার্যকারিতা সম্পর্কে খোঁজখবর করেন। এরপরে হিন্দুস্থান কেব্লস কারখানার শ্রমিক-কর্মীরা যাতে স্বেচ্ছাবসরের জন্য যাতে ভাল আর্থিক প্যাকেজ পান, তা দেখারও আশ্বাস দেন তিনি। তবে দুর্গাপুরের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বিলগ্নিকরণ প্রসঙ্গে তাঁকে কিছু বলতে শোনা যায়নি। এরপরেই তিনি ডিএসপি টাউনশিপের বিধানভবনে আয়োজিত দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যান।
মন্ত্রী বৈঠক না করেই দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে বেরিয়ে গিয়েছেন শুনে হতাশ উপস্থিত উদ্যোগপতিরা। তাঁদেরই এক জনের কথায়, ‘‘মন্ত্রীর বক্তব্য থেকে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গীর কথা জানা যায়। এ ভাবে প্রেক্ষাগৃহে না ঢুকেই উনি চলে যাবেন, এটা ভাবিনি!’’ যদিও মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, সময়ের অভাবেই বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি বাবুল।