প্রতীকী ছবি।
বেসরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসকের গাফিলতিতে তাঁর স্ত্রীর গর্ভস্থ সন্তান মারা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের (সিএমওএইচ) কাছে লিখিত অভিযোগ করলেন এক সরকারি আধিকারিক। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপরে বর্ধমানের বামচাঁদাইপুরের ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারেরও অভিযোগ করেছেন তিনি। সিএমওএইচ প্রণব রায় জানান, অভিযোগের তদন্ত হবে।
আউশগ্রাম ২ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক (বিএলএলআরও) দীপঙ্করকুমার রায়ের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকে ওই হাসপাতালেই যেতেন। ৫ অক্টোবর তাঁর স্ত্রী অসুস্থ হলে তাঁরা ওই হাসপাতালে যান। সেখানে এক চিকিৎসক স্ত্রীকে ভর্তি করেন। অভিযোগ, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানানো হয়, গর্ভস্থ শিশু কী রকম আছে জানার জন্য ইউএসজি (আল্ট্রা সোনোগ্রাফি) করা প্রয়োজন। দীপঙ্করবাবু অভিযোগ করেন, ওই অবস্থায় হাসপাতালের কর্ণধার তথা চিকিৎসক সৌমেন্দু সাহা শিকদার তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। জরুরি পরীক্ষা করানোর জন্য হাসপাতাল থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে খোসবাগানে যাওয়ারও পরামর্শ দেন। রাস্তায় নিয়ে যাওয়ার সময়ে স্ত্রী অসুস্থ বোধ করলে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। ততক্ষণে গর্ভস্থ সন্তান মারা গিয়েছে।
সৌমেন্দুবাবুর অবশ্য দাবি, ওই রোগীকে পোর্টেবল ইউএসজি যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। গর্ভস্থ শিশুর হৃদস্পন্দন পাওয়া যাচ্ছিল না। হাসপাতালে ভর্তি না থাকায় ওই পরীক্ষা বাইরে থেকে করিয়ে আনার জন্য বলা হয়েছিল। তার পরে ওই দম্পতি আর হাসপাতালে আসেননি।